ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাটের নীচে লাশ রেখে বাবা ও ৪ মেয়ের ৬ দিন বসবাস

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ২৫৩ Time View

এক নারীর মৃত্যুর পর ছয়দিন ধরে খাটের নিচে মরদেহ রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন তার স্বামী ও ৪ মেয়ে। পরে লাশের দুর্গন্ধ বের হলে পাড়া-প্রতিবেশি পুলিশে খবর দেয়। এমন ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর মনোহরদী পৌর এলাকায়।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম মোক্তার উদ্দীন তালুকদার। তিনি সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার ৪ মেয়ে মৃত মায়ের লাশ খাটের নীচে রেখে ৬ দিন বাড়িতে বসবাস করছিলেন। পরে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাড়া-প্রতিবেশি পুলিশে ফোন করলে মায়ের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় বাবাসহ ৪ মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান,মনোহরদী পৌর এলাকায় এক সাবেক প্রাথমিক শিক্ষক পিতা ও তার ৪ কন্যা মৃত মায়ের লাশ খাটের নীচে রেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ৬ দিন বাড়ীতে বসবাস করছিলেন। পরে দুর্গন্ধ্যে অতিষ্ঠ পাড়া প্রতিবেশী পুলিশে ফোন করলে মায়ের গলিত লাশ উদ্ধার ও বাবাসহ ৪ মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মনোহরদী পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নিজেদের বাড়িতে বসবাস করতেন মোক্তার উদ্দীন তালুকদার (৬৮), তার স্ত্রী নাজমা ও ৪ মেয়ে।

গত সোমবার ভোরে ওই নারী মারা যান। নাজমা মৃত্যুর আগে তার পরিবারের সবাইকে বলে যান, তার মৃত্যুর ৩/৪ দিন পর তিনি পুনরুজ্জীবিত হবেন। এক পীরের কথায় বিশ্বাস করে পরিবারটি তার লাশ বসত-ঘরের খাটের নীচে রেখে দিন কাটাচ্ছিলেন। এ ঘটনা প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনদের কেউ আঁচ করতে পারেননি।

পরে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পাড়া প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ শনিবার মধ্যরাতে বাড়ীতে হানা দিয়ে দরোজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর খাটের নীচ থেকে নাজমা (৫৬) এর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় বাবা অর্জুনচর গ্রামের মোক্তার উদ্দীন তালুকদার ও তার ৪ মেয়ে ঘরের ভেতরই অবস্থান করছিলেন।পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে গেছে। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।

মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন জানান,পরিবারটি এক পীরের মুরীদ ছিলেন বলে জানিয়েছে। তারা প্রতিদিন ভোর ৩ টা থেকে ৫টা ৬টা পর্যন্ত জিকির করতেন। জিকিররত অবস্থায় শামীমার মৃত্যু ঘটে বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছে। পোষ্ট মর্টেমের জন্য লাশ নরসিংদী প্রেরন করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেম ও পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

খাটের নীচে লাশ রেখে বাবা ও ৪ মেয়ের ৬ দিন বসবাস

Update Time : ০৭:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

এক নারীর মৃত্যুর পর ছয়দিন ধরে খাটের নিচে মরদেহ রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন তার স্বামী ও ৪ মেয়ে। পরে লাশের দুর্গন্ধ বের হলে পাড়া-প্রতিবেশি পুলিশে খবর দেয়। এমন ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর মনোহরদী পৌর এলাকায়।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম মোক্তার উদ্দীন তালুকদার। তিনি সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার ৪ মেয়ে মৃত মায়ের লাশ খাটের নীচে রেখে ৬ দিন বাড়িতে বসবাস করছিলেন। পরে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাড়া-প্রতিবেশি পুলিশে ফোন করলে মায়ের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় বাবাসহ ৪ মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান,মনোহরদী পৌর এলাকায় এক সাবেক প্রাথমিক শিক্ষক পিতা ও তার ৪ কন্যা মৃত মায়ের লাশ খাটের নীচে রেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ৬ দিন বাড়ীতে বসবাস করছিলেন। পরে দুর্গন্ধ্যে অতিষ্ঠ পাড়া প্রতিবেশী পুলিশে ফোন করলে মায়ের গলিত লাশ উদ্ধার ও বাবাসহ ৪ মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মনোহরদী পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নিজেদের বাড়িতে বসবাস করতেন মোক্তার উদ্দীন তালুকদার (৬৮), তার স্ত্রী নাজমা ও ৪ মেয়ে।

গত সোমবার ভোরে ওই নারী মারা যান। নাজমা মৃত্যুর আগে তার পরিবারের সবাইকে বলে যান, তার মৃত্যুর ৩/৪ দিন পর তিনি পুনরুজ্জীবিত হবেন। এক পীরের কথায় বিশ্বাস করে পরিবারটি তার লাশ বসত-ঘরের খাটের নীচে রেখে দিন কাটাচ্ছিলেন। এ ঘটনা প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনদের কেউ আঁচ করতে পারেননি।

পরে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পাড়া প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ শনিবার মধ্যরাতে বাড়ীতে হানা দিয়ে দরোজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর খাটের নীচ থেকে নাজমা (৫৬) এর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় বাবা অর্জুনচর গ্রামের মোক্তার উদ্দীন তালুকদার ও তার ৪ মেয়ে ঘরের ভেতরই অবস্থান করছিলেন।পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে গেছে। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।

মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন জানান,পরিবারটি এক পীরের মুরীদ ছিলেন বলে জানিয়েছে। তারা প্রতিদিন ভোর ৩ টা থেকে ৫টা ৬টা পর্যন্ত জিকির করতেন। জিকিররত অবস্থায় শামীমার মৃত্যু ঘটে বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছে। পোষ্ট মর্টেমের জন্য লাশ নরসিংদী প্রেরন করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেম ও পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।