ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিলের দাবি মানবাধিকার কমিশনের

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৬ Time View

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ‘বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল বা রোহিত করা’ সহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)। তারা বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশে ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ড আইনটি বাতিল করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড আইনটি মানবতাবিরোধী একটি নিষ্ঠুর আইন। বাংলাদেশের এই আইনটি বাতিল করতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক ‘সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ৯ দফা দাবি আদায়ে’ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

বিএইচআরসির দাবিগুলো হলো—

১। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই পৃথক পৃথক একাধিক নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং মানবাধিকার কর্মী হত্যা, নিখোঁজ (গুম) এবং আহতদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও আইনে সোপর্দ করতে হবে।

২। বর্তমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) ভেঙে একটি উচ্চ পুনর্গঠন কমিটি গঠন পূর্বক নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইন প্রণয়ন করতে হব।

৩। এনএইচআরসি’কে অবশ্যই সরকারের দালালি করার কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। একটি নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে হবে।

৪। বিগত স্বৈরাচার সরকার এবং কামাল উদ্দিন বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানবাধিকারকর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ এবং আহতদের উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।

৫। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ও চাপ দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের তিনটি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত রয়েছে যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। স্থগিত করা নিবন্ধনগুলো পুনরায় চালু করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে স্থগিত রেজিস্ট্রেশনগুলো পুনর্বহাল করতে হবে।

৬। স্বৈরাচার সরকারের দোসর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ফরমায়েশি বিচারপতি ও বিচারকদের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে।

৭। যাবত জীবন কারাদণ্ড আইন সংশোধন করতে হবে।

৮। প্রতিটি নাগরিক ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে— এটা নাগরিকের মানবাধিকার। বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাগারে আটক রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তাই ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে হবে।

এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ৪ সপ্তাহ পর বিএইচআরসি থেকে সারা দেশ ও বিদেশের শাখাগুলো একযুগে অব্যাহতভাবে নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করবে। আন্দোলনের প্রাথমিক কর্মসূচিতে থাকবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং স্মারকলিপি প্রদান।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ড. সাইফুল ইসলাম দিলদারসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিলের দাবি মানবাধিকার কমিশনের

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০৫:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ‘বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল বা রোহিত করা’ সহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)। তারা বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশে ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ড আইনটি বাতিল করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড আইনটি মানবতাবিরোধী একটি নিষ্ঠুর আইন। বাংলাদেশের এই আইনটি বাতিল করতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক ‘সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ৯ দফা দাবি আদায়ে’ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

বিএইচআরসির দাবিগুলো হলো—

১। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই পৃথক পৃথক একাধিক নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং মানবাধিকার কর্মী হত্যা, নিখোঁজ (গুম) এবং আহতদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও আইনে সোপর্দ করতে হবে।

২। বর্তমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) ভেঙে একটি উচ্চ পুনর্গঠন কমিটি গঠন পূর্বক নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইন প্রণয়ন করতে হব।

৩। এনএইচআরসি’কে অবশ্যই সরকারের দালালি করার কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। একটি নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে হবে।

৪। বিগত স্বৈরাচার সরকার এবং কামাল উদ্দিন বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানবাধিকারকর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ এবং আহতদের উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।

৫। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ও চাপ দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের তিনটি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত রয়েছে যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। স্থগিত করা নিবন্ধনগুলো পুনরায় চালু করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে স্থগিত রেজিস্ট্রেশনগুলো পুনর্বহাল করতে হবে।

৬। স্বৈরাচার সরকারের দোসর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ফরমায়েশি বিচারপতি ও বিচারকদের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে।

৭। যাবত জীবন কারাদণ্ড আইন সংশোধন করতে হবে।

৮। প্রতিটি নাগরিক ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে— এটা নাগরিকের মানবাধিকার। বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাগারে আটক রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তাই ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে হবে।

এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ৪ সপ্তাহ পর বিএইচআরসি থেকে সারা দেশ ও বিদেশের শাখাগুলো একযুগে অব্যাহতভাবে নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করবে। আন্দোলনের প্রাথমিক কর্মসূচিতে থাকবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং স্মারকলিপি প্রদান।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ড. সাইফুল ইসলাম দিলদারসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।