আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী বার্মিংহামে ‘সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকে-২০২৫’

- Update Time : ০১:২৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৭০ Time View
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী বার্মিংহামে তৃতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকে-২০২৫’।
এ উপলক্ষে সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকের উদ্যোগে সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১০ জানুয়ারি লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সম্প্রীতি কনসার্টের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌছ সুলতান, প্রশান্ত পুরকায়স্থ , উর্মি মাজহার , মুরাদ খান, জুয়েল রাজ, নজরুল ইসলাম অকিব।সভায় জানানো হয়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী বার্মিংহামে পূর্বানাটের আমন্ত্রণে তৃতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকে-২০২৫’।
সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকে মূলত একটি সাংস্কৃতিক ঐক্য। সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শিল্পী, সাহিত্যিক, কলাকুশলী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক তথা সমগ্র জনগণের একটি সম্মিলিত, সৌহার্দ্যপূর্ণ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক উদ্যোগ। যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে। শুরু থেকেই আমরা চেয়েছি এই অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক বার্তা সারা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে দিতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পূর্বানাটের আমন্ত্রণে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তৃতীয় সম্প্রীতি কনসার্ট ২০২৫। আমাদের প্রয়াসে সঙ্গী হয়েছে পূর্বানাট। পূর্বানাট ও একই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে বলেই এবারের উদ্যেক্তা হিসাবে বার্মিংহামে এই আয়োজন করতে যাচ্ছে।
সভায় সম্প্রীতি কনসার্ট ইউকের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, বাংলাদেশের হাজার বছরের লালিত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে আমরা একে অপরের কাধে কাধ মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে একই মঞ্চে কাজ করে যাব। যে চেতনা ও বিশ্বাস থেকে ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ৩ লক্ষ মা-বোনের জীবন-মান বিসর্জন এবং লাখো মুক্তিযোদ্ধার জীবনপণ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছে আমরা বাংলাদেশের সর্বত্র সেই সব অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা আমাদের কর্ম, চিন্তা ও চেতনায় মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি পরম আস্থা এবং মানব সত্তার মর্যাদা ও মূল্যবোধের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধাবোধ ধারণ ও প্রতিপালন করব। সময় সময় বাংলাদেশে ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, ধারা ও প্রকৃতির মানুষের উপর যেসব অত্যাচার সংগঠিত হয়েছে আমরা তার অবসান চাই। এই যাত্রায় আপনারা আমাদের সহযোগী হবেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়,আগামী প্রজন্মের কাছে একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক পৃথিবীর বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। সাংবাদিকগণ সেই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভূমিকা রাখেন। আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি সূদুরপ্রসারী। তাই আপনাদের মতামত আমাদর এই পথচলায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মরা বিশ্বাস করি এবং সেই সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।