টাইমের প্রচ্ছদে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে ইলন মাস্ক, বিতর্কের ঝড়

- Update Time : ০৭:০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ২৬ Time View
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই, ওভাল অফিসের রেজোলিউট ডেস্কের পেছনে থাকা চেয়ারটাতে তারই বসার কথা। কিন্তু টাইম ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যার প্রচ্ছদে ওই আসনে দেখানো হয়েছে ইলন মাস্ককে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
টাইমের ঐতিহাসিক প্রচ্ছদগুলোর ধারাবাহিকতায় এবার মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তার বিস্তৃত ক্ষমতা ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন মাস্ককে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কর্মীদের ছাঁটাই করার অস্বাভাবিক ক্ষমতা প্রদান করেছে। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি মামলার কারণে তার কিছু কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের এই প্রচ্ছদে মাস্ককে এক হাতে কফির কাপ ধরে থাকতে দেখা গেছে, যেখানে তার সামনে প্রেসিডেন্টের ডেস্ক এবং পাশে যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের পতাকা রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মাস্কের নেতৃত্বে ‘লাখ লাখ সরকারি কর্মী এখন তার দয়াদাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত মাস্ক শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জবাবদিহি করছেন। ট্রাম্প তার অন্যতম বড় দাতাকে নতুন প্রশাসনের কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছেন।
টাইম ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে এই প্রচ্ছদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
হোয়াইট হাউজে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প মজা করে বলেন, টাইম ম্যাগাজিন কি এখনো ব্যবসায় আছে? আমি তো জানতামই না!
অতীতে ট্রাম্পের জন্য টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ বেশ গুরুত্ব বহন করতো। তিনি ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও জায়গা পেয়েছেন। তবে তার টাইম প্রচ্ছদে থাকার এতটাই আগ্রহ যে, একসময় তিনি নিজের তৈরি করা ভুয়া টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদও তার বিভিন্ন হোটেলে টাঙিয়ে রেখেছিলেন।
টাইমের সাম্প্রতিক প্রচ্ছদকে বিশ্লেষকরা ২০১৭ সালের স্টিভ ব্যাননের প্রচ্ছদের সঙ্গে তুলনা করছেন, যেখানে ব্যাননকে ‘দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর’ বলা হয়েছিল। সে সময় ব্যাননকে ট্রাম্পের আসল শক্তির উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ব্যাননকে প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ইলন মাস্ক এখনো তার এই প্রচ্ছদ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার প্রভাব যে ট্রাম্প প্রশাসনে বাড়ছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।