ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজেক যাওয়া চার শতাধিক পর্যটকের রাত কাটছে ক্লাবঘর-মসজিদে

রাঙামাটি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:২৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮২ Time View

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) কক্ষ না পেয়ে ক্লাবঘর, মসজিদসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে রাত কাটাতে হচ্ছে চার শতাধিক পর্যটককে।

সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। এসব কক্ষে প্রায় ৪ হাজার ২০০ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কক্ষ অগ্রিম বুকিং না নিয়ে অন্তত হাজার খানেক পর্যটক সাজেকে বেড়াতে আসেন। এর মধ্যে কক্ষ না পেয়ে অনেকে ফিরে যান। তবে সাজেকের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য প্রায় চার শতাধিক পর্যটক রাতে থেকে যান।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এসব পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টোর কক্ষ ও ক্লাবঘরে যে যেভাবে পেরেছেন রাত কাটিয়েছেন।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর থেকে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। কক্ষ না পেয়ে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে অনেক পর্যটক বিভিন্ন সময় ফিরে গেছেন। শুক্রবারও সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেলেও, অনেকে অগ্রিম বুকিং না নিয়ে চলে এসেছেন। যার কারণে তারা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে তাদের স্থানীয় বাসাবাড়ি, ক্লাবঘর, মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, আজ সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। কক্ষ বুকিং না নিয়ে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক সাজেকে এসেছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তাদের ক্লাবঘর, মসজিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা সাজেকে ঘুরতে আসতে চান তাদের প্রতি আহ্বান রাখবো তারা যেন অগ্রিম বুকিং নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সাজেক যাওয়া চার শতাধিক পর্যটকের রাত কাটছে ক্লাবঘর-মসজিদে

রাঙামাটি প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:২৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) কক্ষ না পেয়ে ক্লাবঘর, মসজিদসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে রাত কাটাতে হচ্ছে চার শতাধিক পর্যটককে।

সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। এসব কক্ষে প্রায় ৪ হাজার ২০০ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কক্ষ অগ্রিম বুকিং না নিয়ে অন্তত হাজার খানেক পর্যটক সাজেকে বেড়াতে আসেন। এর মধ্যে কক্ষ না পেয়ে অনেকে ফিরে যান। তবে সাজেকের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য প্রায় চার শতাধিক পর্যটক রাতে থেকে যান।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এসব পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টোর কক্ষ ও ক্লাবঘরে যে যেভাবে পেরেছেন রাত কাটিয়েছেন।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর থেকে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। কক্ষ না পেয়ে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে অনেক পর্যটক বিভিন্ন সময় ফিরে গেছেন। শুক্রবারও সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেলেও, অনেকে অগ্রিম বুকিং না নিয়ে চলে এসেছেন। যার কারণে তারা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে তাদের স্থানীয় বাসাবাড়ি, ক্লাবঘর, মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, আজ সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। কক্ষ বুকিং না নিয়ে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক সাজেকে এসেছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তাদের ক্লাবঘর, মসজিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা সাজেকে ঘুরতে আসতে চান তাদের প্রতি আহ্বান রাখবো তারা যেন অগ্রিম বুকিং নেন।