বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও এমপি ইকবালুর রহিমের বাড়িতে আগুন

- Update Time : ০৮:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৭৫ Time View
দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও সাবেক আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের বাসভবন দ্বিতীয়বারের মতো ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষিপ্ত ছাত্র-জনতা। এছাড়া দিনাজপুর আওয়ামী লীগের জেলা ও সদর উপজেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কয়েকশ ছাত্র ও স্থানীয় লোকজন বুলডোজার কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ ভাঙচুর চালায়।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বুলডোজার নিয়ে প্রথমে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল এলাকার ইকবালও তার ভাই ইনায়েতের বাসভবনে যায়। সেখানে নতুন বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও ৫ আগস্ট ওই বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপর পুনঃনির্মাণ করা হয়।
এ সময় দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে দেখা গেছে। ভবন ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই ইট, লোহার গ্রিল, দরজা-জানালা, প্রাচীরের ওপরে সুরক্ষা তারকাঁটা যে যাঁর মতো ভ্যানে তুলে নিয়ে যান।
সাবেক ইকবাল রহিমের বাড়ি পরিদর্শনে আসা কয়েকজন জনতা জানায়, ইকবালুর রহিমের দাম্ভিকতা ও মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার রাস্তাঘাটের তেমন কোনো উন্নয়ন না করা, নিজের দলীয় নেতাকর্মী ও নিজের পকেট ভারি করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার ওপর তিক্ত ক্ষোভ ও ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ দ্বিতীয়বার তার বাসভবনের প্রাচীর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা অন্তু খান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদের আস্তানা মুছে ফেলার কাজটি করেছি। আমাদের ছাত্র প্রতিনিধি একরামুল হক আবির, বাদশা আল কাউসার, মিজান মিরাজ, ফয়সালসহ অসংখ্য ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন।’
এর আগে ৪ আগস্ট বিকেলে ইকবালুর রহিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। পরদিন অর্থাৎ সরকার পতনের দিন বিকেলে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। দলীয় দুটি কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও মাস দুয়েক আগে ইকবালুর রহিমের বাড়ির জায়গায় তারকাঁটাসহ সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই প্রাচীরটি গুঁড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইটসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যায় লোকজন।
এছাড়া একইদিন গভীর রাতে দিনাজপুর শহরের আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়,সদর আওয়ামী লীগের কার্যালয়,চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়,খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।