ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা কিসের পাওয়ারে ট্রিপল মার্ডারের আসামি জহিরুল বাহিরে টঙ্গীর জাভান হোটেলে পুলিশের অভিযানে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেফতার ৭ ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ইরানি দম্পতির ওপর হামলা, কারাগারে ৪ আসামি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা! ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা!

নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ চেয়ে স্ত্রীকে ফোন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • Update Time : ০৬:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৪ Time View

কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটং থেকে অপহরণের শিকার যুবককে চট্টগ্রাম কাপ্তাই ওয়াসা মোহরা বালুর টাল এলাকা থেকে উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ।

উদ্ধারের পর নিজ মুখে শিকার করলেন প্রকৃত ঘটনা। মূলত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অপরহণের নাটক সাজান ভিকটিম নিজেই। অন্য জনকে দিয়ে ৫০০ টাকায় কিনেন রশি, জংগলে হাত পা বাধা ছবি তুলে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌলভীপাড়া এলাকায়। প্রবাসী মোহাম্মদ ইদ্রিসের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে ভিকটিমকে উদ্ধার বিশেষ অভিযানে নামে পেকুয়া থানা পুলিশ।

টানা ৩ দিন পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জানতে পারেন, তিনি নিজেই সাজিয়েছিলেন এই অপহরণের নাটক। মুক্তিপণের নামে ভাইদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ঋণ পরিশোধ করার জন্যই এমন নাটক সাজান। মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা না দিলে অপহরণকারীরা তাঁকে হত্যা করবেন বলে হুমকিও দেন।

পুলিশ জানায়, ২৪ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে পেকুয়ার টৈটং বাজার থেকে আত্মগোপনে চলে যান ইদ্রিস। এরপর তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে অপহৃত হওয়ার কথা জানান। স্ত্রীকে বলেন, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। নইলে অপহরণকারীরা তাঁকে মেরে ফেলবে। পরে পরিবারের সদস্যরা দফারফা করে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়।

গতকাল রাত ১০টার দিকে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফার কক্ষে ইদ্রিসের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তাঁর তিন লাখ টাকার মতো ঋণ রয়েছে। এই টাকা পরিশোধ করার প্রয়োজন ছিল। এ ছাড়া বেশি টাকা আদায় করতে পারলে তা দিয়ে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। ইদ্রিস বলেন, ‘দোকান থেকে রশি কিনে অন্য একজনের সহায়তায় নিজের হাত-পা বেঁধে ছবিটি স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলাম। ঘটনাটি এত বড় হবে ভাবিনি। এখন আমি অনুতপ্ত।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ইদ্রিসকে আজ বুধবার দুপুরে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিষয়ে আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ চেয়ে স্ত্রীকে ফোন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
Update Time : ০৬:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটং থেকে অপহরণের শিকার যুবককে চট্টগ্রাম কাপ্তাই ওয়াসা মোহরা বালুর টাল এলাকা থেকে উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ।

উদ্ধারের পর নিজ মুখে শিকার করলেন প্রকৃত ঘটনা। মূলত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অপরহণের নাটক সাজান ভিকটিম নিজেই। অন্য জনকে দিয়ে ৫০০ টাকায় কিনেন রশি, জংগলে হাত পা বাধা ছবি তুলে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌলভীপাড়া এলাকায়। প্রবাসী মোহাম্মদ ইদ্রিসের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে ভিকটিমকে উদ্ধার বিশেষ অভিযানে নামে পেকুয়া থানা পুলিশ।

টানা ৩ দিন পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জানতে পারেন, তিনি নিজেই সাজিয়েছিলেন এই অপহরণের নাটক। মুক্তিপণের নামে ভাইদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ঋণ পরিশোধ করার জন্যই এমন নাটক সাজান। মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা না দিলে অপহরণকারীরা তাঁকে হত্যা করবেন বলে হুমকিও দেন।

পুলিশ জানায়, ২৪ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে পেকুয়ার টৈটং বাজার থেকে আত্মগোপনে চলে যান ইদ্রিস। এরপর তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে অপহৃত হওয়ার কথা জানান। স্ত্রীকে বলেন, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। নইলে অপহরণকারীরা তাঁকে মেরে ফেলবে। পরে পরিবারের সদস্যরা দফারফা করে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়।

গতকাল রাত ১০টার দিকে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফার কক্ষে ইদ্রিসের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তাঁর তিন লাখ টাকার মতো ঋণ রয়েছে। এই টাকা পরিশোধ করার প্রয়োজন ছিল। এ ছাড়া বেশি টাকা আদায় করতে পারলে তা দিয়ে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। ইদ্রিস বলেন, ‘দোকান থেকে রশি কিনে অন্য একজনের সহায়তায় নিজের হাত-পা বেঁধে ছবিটি স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলাম। ঘটনাটি এত বড় হবে ভাবিনি। এখন আমি অনুতপ্ত।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ইদ্রিসকে আজ বুধবার দুপুরে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে। তাঁর বিষয়ে আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।