অবৈধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে – পরিবেশ উপদেষ্টা

- Update Time : ০৩:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৩ Time View
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিরোধ আসলেও অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর চকবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালানোর সময় স্বার্থান্বেষী মহল কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে। হামলার নিন্দা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকারি কাজে বাধাদান ও হামলার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রবিবার ২৬ জানুয়ারি বিকালে রাজধানীর পানি ভবনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস উদ্যাপন এবং বনাপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী মেছো বিড়াল সংরক্ষণের নিমিত্ত সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সাথে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন সোয়া কোটি পলিথিন ব্যাগ বর্জ্য হিসেবে উৎপাদন হচ্ছে। তাই পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পলিথিন উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতেই হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার রাজধানীর চকবাজার এলাকায় ৩টি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানা ৩টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওযা হয় ও বিভিন্ন দোকান মালিককে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার বিষয়ে সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও, রাজবাড়ী, বরিশাল, পিরোজপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, শেরপুর, কুমিল্লা ও ঢাকা মহানগরের চকবাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ৯টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ২১টি মামলার মাধ্যমে এক লক্ষ পাঁচ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং সমগ্র দেশে আনুমানিক ২ হাজার ৩৮৭ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয়।
অপরদিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা নিয়ন্ত্রাধীন ভাওয়াল রেঞ্জের ভবানীপুর বিটের সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন গাজীপুর, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং বন বিভাগের যৌথ অভিযানে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হয়। এই অভিযানে মোট ৩ একর সংরক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়, যেখানে অবৈধভাবে নির্মিত দ্বিতল ভবন, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের ছোটো বড়ো মোট ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যার বাজার মূল্য ১০কোটি টাকা।