ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

হাতকড়া পরিয়ে অভিবাসীদের ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলের নিন্দা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:২৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৯ Time View

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ব্রাজিলিয়ান অভিবাসীদের হাতে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রাজিল। দেশটির একজন মন্ত্রী এই ঘটনাকে ব্রাজিলের নাগরিকদের প্রতি ‘স্পষ্ট অপমান’ বলে উল্লেখ করেছেন।

গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) অভিবাসীদের বহনকারী প্লেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমাজনের মানাউস শহরে জরুরি অবতরণ করে। এটি মূলত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মিনাস জেরাইস রাজ্যের বেলো হরিজন্তে শহরে অবতরণের কথা ছিল।

ব্রাজিল সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়, ফেডারেল পুলিশ ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী রিকার্দো লেভান্দোভস্কির নির্দেশে ফ্লাইটটি গ্রহণ করে। প্লেনটিতে ৮৮ জন ব্রাজিলিয়ান যাত্রী, ১৬ জন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং আটজন ক্রু সদস্য ছিলেন।

এসময় পুলিশের হস্তক্ষেপে প্লেনের যাত্রীদের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভার নির্দেশে ব্রাজিলিয়ান বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠানো হয়, যাতে তারা সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন।

ব্রাজিলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ব্রাজিলিয়ান অভিবাসীদের এটি দ্বিতীয় ফ্লাইট। তবে গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি প্রথম।

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে। দেশটিতে বসবাসরত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে নির্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সময় হাতকড়া পরানোর বিষয়টি ব্রাজিলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোও এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

সূত্র: রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media

হাতকড়া পরিয়ে অভিবাসীদের ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলের নিন্দা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৪:২৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ব্রাজিলিয়ান অভিবাসীদের হাতে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রাজিল। দেশটির একজন মন্ত্রী এই ঘটনাকে ব্রাজিলের নাগরিকদের প্রতি ‘স্পষ্ট অপমান’ বলে উল্লেখ করেছেন।

গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) অভিবাসীদের বহনকারী প্লেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমাজনের মানাউস শহরে জরুরি অবতরণ করে। এটি মূলত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মিনাস জেরাইস রাজ্যের বেলো হরিজন্তে শহরে অবতরণের কথা ছিল।

ব্রাজিল সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়, ফেডারেল পুলিশ ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী রিকার্দো লেভান্দোভস্কির নির্দেশে ফ্লাইটটি গ্রহণ করে। প্লেনটিতে ৮৮ জন ব্রাজিলিয়ান যাত্রী, ১৬ জন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং আটজন ক্রু সদস্য ছিলেন।

এসময় পুলিশের হস্তক্ষেপে প্লেনের যাত্রীদের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভার নির্দেশে ব্রাজিলিয়ান বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠানো হয়, যাতে তারা সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন।

ব্রাজিলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ব্রাজিলিয়ান অভিবাসীদের এটি দ্বিতীয় ফ্লাইট। তবে গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি প্রথম।

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে। দেশটিতে বসবাসরত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে নির্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সময় হাতকড়া পরানোর বিষয়টি ব্রাজিলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোও এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

সূত্র: রয়টার্স