ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করা সেই আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
  • Update Time : ১১:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • / ১৫৬ Time View

অভিযুক্ত কৃষক লীগ নেত্রী সামসাদ রানু। ছবি:সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত জেলা মহিলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাবেক সভানেত্রী সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক থানায় মামলা করেন। এরপর রাত ৮ টার সময় শহরের চাতালমোড় থেকে সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কৃষকলীগ নেত্রী সামসাদ রানু আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। পরবর্তীতে মেয়র পদে নির্বাচন করে তিনি জামানত হারান। তিনি এলাকায় রাঙা ভাবি নামে অধিক পরিচিত।

জানা গেছে, স্কুলে দেরি করে আসায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রথমে চড় থাপ্পড় ও পরে পায়ের স্যান্ডেল খুলে পেটান প্রধান শিক্ষককে। সামসাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের কাজে তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে ঢুকে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হননি। এরপর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান স্কুলে ঢোকেন ৯টা ৫০ মিনিটে। এতে ক্ষুব্ধ রাঙা ভাবি প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক চেয়ারে বসলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

এ সময় উত্তেজিত আওয়ামী লীগ নেত্রী (রাঙা ভাবি) প্রথমে প্রধান শিক্ষকের মুখে একের পর এক চড় মারতে থাকেন এবং একপর্যায়ে পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারতে থাকেন। এরপরই তিনি স্কুল ছেড়ে চলে যান এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমি অফিসের ভেতরেই ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যারকে মারধর শুরু করা হয়।

অভিযুক্ত রাঙা ভাবি অকপটে স্বীকার করে বলেন, দেরি করে স্কুলে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এজন্য তাকে ধাক্কা দিয়েছি মাত্র। চেয়ার তুলে মারতে গেলে একজন শিক্ষক ঠেকিয়ে দেন তাকে।

প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অপমানকর। আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। সন্ধ্যার পর থানায় মামলা দায়ের করেছি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর বলেন, সামসাদ রানু নামের মহিলা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যেটা করেছেন তা ফৌজদারি অপরাধ এবং নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, প্রধান শিক্ষক মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী!

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করা সেই আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

Update Time : ১১:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত জেলা মহিলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাবেক সভানেত্রী সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক থানায় মামলা করেন। এরপর রাত ৮ টার সময় শহরের চাতালমোড় থেকে সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কৃষকলীগ নেত্রী সামসাদ রানু আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। পরবর্তীতে মেয়র পদে নির্বাচন করে তিনি জামানত হারান। তিনি এলাকায় রাঙা ভাবি নামে অধিক পরিচিত।

জানা গেছে, স্কুলে দেরি করে আসায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রথমে চড় থাপ্পড় ও পরে পায়ের স্যান্ডেল খুলে পেটান প্রধান শিক্ষককে। সামসাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের কাজে তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে ঢুকে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হননি। এরপর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান স্কুলে ঢোকেন ৯টা ৫০ মিনিটে। এতে ক্ষুব্ধ রাঙা ভাবি প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক চেয়ারে বসলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

এ সময় উত্তেজিত আওয়ামী লীগ নেত্রী (রাঙা ভাবি) প্রথমে প্রধান শিক্ষকের মুখে একের পর এক চড় মারতে থাকেন এবং একপর্যায়ে পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারতে থাকেন। এরপরই তিনি স্কুল ছেড়ে চলে যান এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমি অফিসের ভেতরেই ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যারকে মারধর শুরু করা হয়।

অভিযুক্ত রাঙা ভাবি অকপটে স্বীকার করে বলেন, দেরি করে স্কুলে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এজন্য তাকে ধাক্কা দিয়েছি মাত্র। চেয়ার তুলে মারতে গেলে একজন শিক্ষক ঠেকিয়ে দেন তাকে।

প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অপমানকর। আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। সন্ধ্যার পর থানায় মামলা দায়ের করেছি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর বলেন, সামসাদ রানু নামের মহিলা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যেটা করেছেন তা ফৌজদারি অপরাধ এবং নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, প্রধান শিক্ষক মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী!