ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট

নজিরবিহীন লুটপাটের গণবিরোধী বাজেট : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৭:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • / ৩৪৮ Time View

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নজিরবিহীন লুটপাটের বাজেট। যা অলীক কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য গণবিরোধী বাজেট বলে দাবি করেছে বিএনপি। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৭ জুন) বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেট বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। কল্পনাবিলাসী বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী এই বাজেট। এটা স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত অর্থ লুটেরাদের বাজেট।

বাজেটের তথ্য উপস্থাপন করে ফখরুল বলেন, বাজেটে পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩.৪ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় ৩৬.৪ শতাংশ। আয় থেকে অর্থের সংস্থান হবে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, আর ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা আসবে ঋণের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের ৩২.৮ শতাংশ পরোক্ষ কর (ভ্যাট) এবং ৩০.৭ শতাংশ প্রত্যক্ষ কর। এরই সাথে সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ প্রত্যাশা করছে। এ বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট, জনকল্যাণের নয়। মানুষকে ধোকা দেয়ার বাজেট।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে জাবাবদিহিতা থাকে না। অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধমূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর তার জন্য একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও নির্বাচন অনুষ্ঠান। যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

সংবাদ সম্মলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নজিরবিহীন লুটপাটের গণবিরোধী বাজেট : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৭:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নজিরবিহীন লুটপাটের বাজেট। যা অলীক কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য গণবিরোধী বাজেট বলে দাবি করেছে বিএনপি। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৭ জুন) বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেট বর্তমান ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বার্ষিক ঘোষণাপত্র মাত্র। কল্পনাবিলাসী বাস্তবায়ন অযোগ্য এক উচ্চাভিলাষী এই বাজেট। এটা স্রেফ দুর্নীতিবাজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত অর্থ লুটেরাদের বাজেট।

বাজেটের তথ্য উপস্থাপন করে ফখরুল বলেন, বাজেটে পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩.৪ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় ৩৬.৪ শতাংশ। আয় থেকে অর্থের সংস্থান হবে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, আর ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা আসবে ঋণের মাধ্যমে। রাজস্ব আয়ের ৩২.৮ শতাংশ পরোক্ষ কর (ভ্যাট) এবং ৩০.৭ শতাংশ প্রত্যক্ষ কর। এরই সাথে সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ প্রত্যাশা করছে। এ বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট, জনকল্যাণের নয়। মানুষকে ধোকা দেয়ার বাজেট।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে জাবাবদিহিতা থাকে না। অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংকট থেকে মুক্তি পেতে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধমূলক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর তার জন্য একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও নির্বাচন অনুষ্ঠান। যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

সংবাদ সম্মলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।