ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

আ’লীগ কর্মী হত্যা মামলায় কারাগারে ভাইস চেয়ারম্যান

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৭:২২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • / ৯৫ Time View

রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহীদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

তিনি বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদনের শুনানি শেষে তার জা‌মিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার সমর্থকরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান শেষ না করেই বাণিজ্যমন্ত্রী চলে যান।

বিকেলের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

নিহত সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে সোনা মিয়ার ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নামে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আ’লীগ কর্মী হত্যা মামলায় কারাগারে ভাইস চেয়ারম্যান

Update Time : ০৭:২২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী সোনা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহীদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

তিনি বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদনের শুনানি শেষে তার জা‌মিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার সমর্থকরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান শেষ না করেই বাণিজ্যমন্ত্রী চলে যান।

বিকেলের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

নিহত সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে সোনা মিয়ার ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নামে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।