ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শুভাঢ্যা খালটাকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গার সাথে প্রবাহমান করে সমৃদ্ধ করে দিতে চাই – সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে মওকাবাজরা তৎপর : এখনই রাশ টানা দরকার সেই চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ জজ এবার আইন সচিব হচ্ছেন! বিচারপতি আখতারুজ্জামানের শুনানি সম্পন্ন; খুরশীদ আলমের শুনানি ২ সেপ্টেম্বর আফ্রিদির মুখোশ খুললেন তানভীর রাহী ‘মাহফুজ আলমের ওপর হামলাচেষ্টা, শুধু ধৃষ্টতা নয় দেউলিয়াত্বের ও বহিঃপ্রকাশ’ শপথ নিলেন নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি বিচার বিভাগ স্বাধীন, দক্ষ ও মানবিক হলে তবেই আস্থা অর্জন করতে পারবে: প্রধান বিচারপতি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

জানুয়ারির শেষ দিকে চালু হচ্ছে যমুনা রেলসেতু

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৮৮ Time View

যমুনা নদীর ওপর প্রথম ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প’ পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি এবং কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৮ শতাংশের বেশি।

তিনি বলেন, সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার, পূর্ব রেলস্টেশন থেকে পশ্চিম রেলস্টেশনের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, আমরা ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুতে পরীক্ষামূলক চালানো শেষ করেছি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সেতুর প্যারামিটার পরিমাপ এবং স্ট্যাটিক লোড পরিমাপসহ সব ধরনের পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ সেতটিু নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে মূল সেতু নির্মাণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

২০১৬ সালে গৃহীত প্রকল্পের মূল কাজ করছে দুটি জাপানি যৌথ-উদ্যোগ সংস্থা। বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার উজানে গ্যাস পাইপলাইন সুবিধা সম্বলিত ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু প্রকল্পটি পাস করে এবং প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের আগস্টে এবং সেতুর ভিত্তি স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।

এই রেল সেতুটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়াতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাজধানী এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে ট্রেন পরিচালনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এটি ট্রেনের সময়সূচিতে বিলম্ব কমাতেও সাহায্য করবে। নতুন এই রেল সেতুতে দৈনিক ৮৮টি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা থাকবে, যেখানে যমুনা সেতুতে দিনে সর্বোচ্চ ২২টি ট্রেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

জানুয়ারির শেষ দিকে চালু হচ্ছে যমুনা রেলসেতু

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০২:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

যমুনা নদীর ওপর প্রথম ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প’ পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি এবং কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৮ শতাংশের বেশি।

তিনি বলেন, সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার, পূর্ব রেলস্টেশন থেকে পশ্চিম রেলস্টেশনের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, আমরা ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুতে পরীক্ষামূলক চালানো শেষ করেছি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সেতুর প্যারামিটার পরিমাপ এবং স্ট্যাটিক লোড পরিমাপসহ সব ধরনের পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ সেতটিু নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে মূল সেতু নির্মাণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

২০১৬ সালে গৃহীত প্রকল্পের মূল কাজ করছে দুটি জাপানি যৌথ-উদ্যোগ সংস্থা। বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার উজানে গ্যাস পাইপলাইন সুবিধা সম্বলিত ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু প্রকল্পটি পাস করে এবং প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের আগস্টে এবং সেতুর ভিত্তি স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।

এই রেল সেতুটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়াতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। রাজধানী এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে ট্রেন পরিচালনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এটি ট্রেনের সময়সূচিতে বিলম্ব কমাতেও সাহায্য করবে। নতুন এই রেল সেতুতে দৈনিক ৮৮টি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা থাকবে, যেখানে যমুনা সেতুতে দিনে সর্বোচ্চ ২২টি ট্রেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।