ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে ভাঙচুর ও গোলাগুলি প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:২৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৮ Time View

বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিকস টিমের কর্মকর্তা রোববার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে দ্য টেলিগ্রাফ, টাইমস, সানডে টাইমসসহ যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

এর আগে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের নির্মাণে প্রায় ৪০০ কোটি পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

এতে নাম উঠে আসে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে এবং ব্রিটিশ লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের মোট পাঁচজন সদস্যের। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের মধ্যে অন্যতম। তবে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। অথচ তার নিজের বিরুদ্ধেই এখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনিসহ বাকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নিজেদের স্বার্থে ওই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরেছিলেন।

এখন টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন এমন তথ্য প্রকাশের পরই প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিক্স টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:২৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিকস টিমের কর্মকর্তা রোববার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে দ্য টেলিগ্রাফ, টাইমস, সানডে টাইমসসহ যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

এর আগে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের নির্মাণে প্রায় ৪০০ কোটি পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

এতে নাম উঠে আসে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে এবং ব্রিটিশ লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের মোট পাঁচজন সদস্যের। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের মধ্যে অন্যতম। তবে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। অথচ তার নিজের বিরুদ্ধেই এখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনিসহ বাকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নিজেদের স্বার্থে ওই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরেছিলেন।

এখন টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন এমন তথ্য প্রকাশের পরই প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিক্স টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয়।