নীলফামারী বিআরটিএ’তে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি

- Update Time : ০৬:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
- / ৬৪৬ Time View
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নীলফামারী জেলা কার্যালয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ বিভিন্ন কাজে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও হয়রানি করা হচ্ছে সেবা গ্রহীতা ভুক্তভোগীদের।
এছাড়াও বিআরটিএ তে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম। দালালদের মাধ্যমে কাজ করলে হয়রানি ছাড়া মেলে বাড়তি সুবিধা। এতে সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন কাজের ফির চেয়ে লাগে অতিরিক্ত অর্থ। সবকিছুই হয় অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিকনির্দেশনা মোতাবেক।
সেবা গ্রহীতারা অভিযোগ করে জানান, ‘দালালদের তৎপরতা চলে বিআরটিএ’র এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে। তারাই দালালদের পৃষ্ঠপোষক। তাই বন্ধ হয় না বিআরটিএ কার্যালয়ের দুর্নীতি এবং দালালদের অপতৎপরতা। লাইসেন্স ইস্যু, নবায়নের ও কাগজপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ খোয়াতে হয় ভুক্তভোগীদের।’
সেবা নিতে আসা লক্ষীচাপ ইউনিয়নের রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গাড়ির লাইসেন্স করার জন্য সব কাগজপত্র নিয়ে জমা দেওয়ার জন্য বিআরটিএ যাই। সব কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও তারা আমার কাগজ জমা না নিয়ে বলে আজ আসেন কাল আসেন। কিন্তু আমার সাথে আসা আরেকজন দালালের মাধ্যমে দ্রুত কাগজপত্র জমা দিলো। আমি কোথাও কাউকে বাড়তি টাকা দেয় নি দেখে তারা হয়রানি করছে।’
সেবা গ্রহীতা বাসুদেব রায় বলেন, ‘আমি ২০২১ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিয়ে উত্তির্ন হই। তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কাগজ জমা দিতে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় আমার পরে অনেকের কাগজ জমা নেন এবং হাসি ঠাট্টায় সময় অতিবাহিত করতে থাকেন। তার প্রতিবাদ করতে গেলে ওই কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়তে হয় আমাকে। কিছুক্ষণ বাক বিতণ্ডের পর অফিসের একজন কর্মচারি দ্বারা আমার কাগজ জমা নেন। অনেক চাওয়ার পর আমাকে রশিদ দেন সাথে হুমকি দেন আপনার কাজ হবে না। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল হয়ে গেলো এখন পর্যন্ত আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাই নি। তারা আবার আমাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিতে বলে।’
অভিযোগের বিষয়ে নীলফামারী বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ ফারুক আলম বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমরা স্বচ্ছতার সাথে কাজ করি।’
পাস করার পরও ভুক্তভোগী বাসুদেব রায়কে আবার পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিআরটিএ’র সার্ভারের জটিলতা থাকার কারণে তার লাইসেন্সের কাজটি হয় নি। তাই নতুন করে তাকে আবার পরীক্ষা দিতে হবে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেল বলেন, ‘পরীক্ষায় পাস করার পরও তার লাইসেন্স হয় নি এর সম্পুর্ন দায়ভার বিআরটিএ’র। পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিয়ে পাস করে উত্তির্ন হতে হবে তাকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস না করে লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ নেই।’
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়