ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনের সেকেন্ড ইন কমান্ড পাভেল মোল্লার দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ সাকিবকে নিয়ে ভিপি সাদিকের স্ট্যাটাস মধ্যরাতে সাকিবের রহস্যময় পোস্ট টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু, মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জন করা যায় – মনোয়ারা বেগম সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে টেকসই পর্যটনের জন্য প্রকৃতি রক্ষা অপরিহার্য – পরিবেশ উপদেষ্টা ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেবো না: ট্রাম্প শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে খারিজ শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ে

জার্মানিতে ওলাফ শলজ সরকারের পতন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১২৪ Time View

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন দেশটির বেশিরভাগ সাংসদ। এর ফলে জার্মানিতে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকারের পতন হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনিভূত হল বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয় প্রতিবেদনে বলা হয়, ওলাফ শলৎসের ক্ষমতায় থাকা না থাকার প্রশ্নে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জার্মান পার্লামেন্টে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে পরাজিত হয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। এর ফলে নতুন সরকার গঠন করতে এখন আগাম নির্বাচন আয়োজন করতে করতে হবে। যা আগামী বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মূলত অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। তার জেরে গত মাসেই জোট সরকার ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। সেই সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর আস্থা ভোটের ডাক দেন।

চলমান পরিস্থিতিতে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে ২১ দিন সময় পাবেন তিনি। এরই মধ্যে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনায় সম্মতির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এমনিতেই আর মাত্র নয় মাস পর নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই সরকারের পতন জার্মানির জন্য একটি অস্বাভাবিক মুহূর্ত। এর মধ্যদিয়ে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যাগত ৭৫ বছরের মধ্যে চতুর্থ আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এর আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জেরে চলতি মাসেই ফ্রান্সে সরকার পতন হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় হয় প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়েকে। যা ইউরোপে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে নেতৃত্বের সংকটকে আরও গভীর করেছে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

জার্মানিতে ওলাফ শলজ সরকারের পতন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন দেশটির বেশিরভাগ সাংসদ। এর ফলে জার্মানিতে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকারের পতন হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনিভূত হল বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয় প্রতিবেদনে বলা হয়, ওলাফ শলৎসের ক্ষমতায় থাকা না থাকার প্রশ্নে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জার্মান পার্লামেন্টে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে পরাজিত হয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। এর ফলে নতুন সরকার গঠন করতে এখন আগাম নির্বাচন আয়োজন করতে করতে হবে। যা আগামী বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মূলত অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। তার জেরে গত মাসেই জোট সরকার ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। সেই সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর আস্থা ভোটের ডাক দেন।

চলমান পরিস্থিতিতে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে ২১ দিন সময় পাবেন তিনি। এরই মধ্যে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনায় সম্মতির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এমনিতেই আর মাত্র নয় মাস পর নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই সরকারের পতন জার্মানির জন্য একটি অস্বাভাবিক মুহূর্ত। এর মধ্যদিয়ে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যাগত ৭৫ বছরের মধ্যে চতুর্থ আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এর আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জেরে চলতি মাসেই ফ্রান্সে সরকার পতন হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় হয় প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়েকে। যা ইউরোপে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে নেতৃত্বের সংকটকে আরও গভীর করেছে।

নওরোজ/এসএইচ