হার্ট সুস্থ রাখে যে খাবার

- Update Time : ০৬:২৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৭ Time View
বর্তমানে, হৃদরোগ একটি অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান কারণ। তবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যা হার্টের সুস্থতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তেমনই কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে- তৈলাক্ত মাছ, চিয়া সীড, ওয়ান নাট, এবং তিসির বীজ। এই খাবারগুলো হার্টের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী, কারণ এতে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান।
তৈলাক্ত মাছ
তৈলাক্ত মাছ যেমন স্যালমন, ম্যাকারেল, ট্রাউট, এবং হেরিং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এ ধরনের মাছগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ কমাতে, রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে, তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল (খউখ) কমে গিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (ঐউখ) বৃদ্ধি পায়।
চিয়া সীড
চিয়া সীড অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কার্যকর। এতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। চিয়া সীড হার্টের জন্য উপকারী কারণ এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদপিণ্ডের প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এছাড়াও, এটি হজম ক্ষমতাও উন্নত করে।
ওয়াল নাট
ওয়াল নাট, বা আখরোট, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য একটি আদর্শ খাবার। এটি অন্তর্ভুক্ত করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষত, ওয়াল নাটে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের পক্ষে উপকারী, কারণ এটি রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তিসির বীজ
তিসির বীজও একটি হার্টের জন্য উপকারী খাবার। এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তিসির বীজের মধ্যে থাকা আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (অখঅ) হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তিসির বীজে থাকা ফাইবার শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে নিয়মিত এবং সুষম খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছ, চিয়া সীড, ওয়ান নাট এবং তিসির বীজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এসব খাবারের মাধ্যমে আপনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারবেন এবং হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। তবে, এগুলোর পাশাপাশি পরিমাণে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চা এবং সঠিক জীবনযাপনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়