ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
গাইবান্ধার সাবেক এমপিকে কারাগারে প্রেরণ আওয়ামী লীগ নেতা এখনও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন রংপুরে দোকানপাট বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে টঙ্গীতে তা’মীরুল মিল্লাত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা এসএসসি পরীক্ষা: মোরেলঞ্জে দায়িত্ব অবহেলার কারনে ৯ শিক্ষককে বহিস্কার চীনের উপহারের হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে রংপুরে তিস্তা এলাকা পরিদর্শন জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবিলম্বে নির্বাচন দাবি জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষতা শীর্ষক সেমিনার সিরিজ অনুষ্ঠিত

ফুলবাড়িয়া-২ মার্কেট: দোকান মালিকদের উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১০০ Time View

ঢাকার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া-২ সিটি মার্কেটের বেইজমেন্টে ৫৩১টি দোকান উচ্ছেদ করে ব্যবসায়ীদের জীবিকা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।

২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা কর্মক্ষেত্র হারিয়ে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া মার্কেটের বেজমেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। 

সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা এবং জাকের সুপার মার্কেটের সভাপতি কে এম সোহেল ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্যে বলেন, “দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরও বিনা নোটিশে আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, উচ্চ আদালত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এখনো সিটি কর্পোরেশন রায় বাস্তবায়ন না করে পার্কিংয়ের টেন্ডার আহ্বান করেছে, যা আদালত স্থগিত করেছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, মার্কেটের বেইজমেন্টগুলো অবকাঠামোগতভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উপযোগী নয়। ২৩ বছর ধরে এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে প্রায় ৩.৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন, দোকানগুলো পুনঃনির্মাণ করে বরাদ্দ দিলে রাজস্ব আয় বেড়ে বছরে প্রায় ১৯.১১ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। অন্যদিকে, পার্কিং ব্যবস্থা চালু করলে সর্বোচ্চ আয় হতে পারে বছরে মাত্র ৩৯.৪৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে দোকানের সঙ্গে যুক্ত ৫৩১টি কারখানায় কর্মরত সহস্রাধিক শ্রমিক এবং তাদের পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই কারখানাগুলো পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারকে পরোক্ষভাবে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করত। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কে এম সোহেল বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করে পরিবারগুলোকে রক্ষায় সহায়তা করা হয়।

ব্যবসায়ীরা দাবি করে বলেন, উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হোক এবং পার্কিং ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন যেন গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিকল্প জায়গা ব্যবহার করার দাবি করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।

দোকান মালিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে। তারা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ফুলবাড়িয়া-২ মার্কেট: দোকান মালিকদের উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া-২ সিটি মার্কেটের বেইজমেন্টে ৫৩১টি দোকান উচ্ছেদ করে ব্যবসায়ীদের জীবিকা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।

২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা কর্মক্ষেত্র হারিয়ে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া মার্কেটের বেজমেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। 

সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা এবং জাকের সুপার মার্কেটের সভাপতি কে এম সোহেল ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্যে বলেন, “দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরও বিনা নোটিশে আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, উচ্চ আদালত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এখনো সিটি কর্পোরেশন রায় বাস্তবায়ন না করে পার্কিংয়ের টেন্ডার আহ্বান করেছে, যা আদালত স্থগিত করেছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, মার্কেটের বেইজমেন্টগুলো অবকাঠামোগতভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উপযোগী নয়। ২৩ বছর ধরে এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে প্রায় ৩.৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন, দোকানগুলো পুনঃনির্মাণ করে বরাদ্দ দিলে রাজস্ব আয় বেড়ে বছরে প্রায় ১৯.১১ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। অন্যদিকে, পার্কিং ব্যবস্থা চালু করলে সর্বোচ্চ আয় হতে পারে বছরে মাত্র ৩৯.৪৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে দোকানের সঙ্গে যুক্ত ৫৩১টি কারখানায় কর্মরত সহস্রাধিক শ্রমিক এবং তাদের পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই কারখানাগুলো পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারকে পরোক্ষভাবে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করত। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কে এম সোহেল বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করে পরিবারগুলোকে রক্ষায় সহায়তা করা হয়।

ব্যবসায়ীরা দাবি করে বলেন, উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত দোকান পুনঃনির্মাণ করে স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হোক এবং পার্কিং ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন যেন গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিকল্প জায়গা ব্যবহার করার দাবি করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।

দোকান মালিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে। তারা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।