ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নওরোজ রিপোর্ট
  • Update Time : ০৬:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৪০ Time View

বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অফিসে অবস্থানকালীন পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অর্থ জালিয়াতি ও আঞ্চলিকতার দাপটের অভিযোগ উঠেছে। রংপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্ণরসহ উপরস্থ কর্মকতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, টাকার বিনিময়ে ব্যাংকের মসজিদে খাদেম নিয়োগ, মাকে নির্ভরশীল দেখিয়ে সিলিং উর্ধ্বো ওষুধ গ্রহণ ও রূপালী ব্যাংক থেকে নিজের মায়ের নামে গৃহীত শিল্প ঋণের গ্রান্টার হওয়াসহ আরো অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাখাওয়াত হোসেন পরিচালক বলেই সঙ্গতকারণে তিনি রংপুর অঞ্চলের ব্যাংকগুলো টাকা উত্তোলন ও জমা দেয়ার প্রক্রিয়া অনুমোদন দিয়ে থাকেন। সাখাওয়াত তার পছন্দের এবং টাকার বিনিময়ে কিছু কিছু ব্যাকে নতুন নোট দিয়ে থাকেন। তাকে ঘুষ না দিলে নতুন নোট দিবেন না। কেউ তার এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তাকে গালাগালি ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান।

ডিজিএম (ক্যাশ) তার আইডি ম্যানুয়াল অনুযায়ী কথা বললে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন, আমি যেভাবে বলি সেভাবেই কাজ করতে হবে। ম্যানুয়ালে ক্যাশ বিভাগের দৈনন্দিন কর্মবণ্টন ডিজিএমের দায়িত্বে থাকলেও পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন তা করতে না দিয়ে নিজেই টেলিফোনের মাধ্যমে পছন্দের কর্মকর্তাদের সুবিধা মতো জায়গায় পোস্টিং দিয়ে থাকেন। তিনি ডিজিএম এর ক্ষমতা খর্ব করে স্টাফদের ছুটির দায়িত্ব নিয়েছেন। তার ইচ্ছেমতো যাকে খুশি তাকে ছুটি দিয়ে থাকেন।

এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে কোন সময় যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ক্যাশ বিভাগের বৈকালিব স্থিতি বুক রাইটিংসহ সকল ক্ষেত্রে লেট সিটিং বন্ধ করে রেখেছেন। সাখাওয়াত হোসেন তার একচ্ছত্র আধিপত্য, উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং নিয়মনীতির পরিপন্থী কাজ অব্যাহত রাখার জন্য অফিসে ৮ জন দুর্বৃত্তকে পুষে থাকেন। তার ক্যাডার হচ্ছে, ভবদীস চন্দ্র রায়, মোস্তাফিজুর রহমান, আল মামুন চৌধুরী, সাদেকুল ইসলাম, নূর ইসলাম, আবদুল কাফি, তরিকুল ইসলাম ও মোশারুল ইসলাম। সাখাওয়াত হোসেনের এই ক্যাডাররা অফিসের নিরীহ ভদ্রলোকদের অপমান, অপদস্থ ও শারীরিক নির্যাতন করে।

অভিযোগকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগে গভর্নর মহোদয়ের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করে আরো অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি আছে। নিয়মনীতি বহির্ভূত জোর করে তার মনগড়া কমিটি দিয়ে সমিতি পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সমিতির সদস্যরা সুষ্ঠু নির্ভাচনের দাবি করে আসলেও পরিচালক সাখাওয়াত প্রশাসন দিয়ে ও তার ক্যাডারদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এই অবৈধ কমিটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছে এবং অন্যায়ভাবে খরচ করছে। সমিতির সদস্যদের জমানো টাকা এভাবে খরচ করার জন্য সবাই চিন্তিত।

Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নওরোজ রিপোর্ট
Update Time : ০৬:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অফিসে অবস্থানকালীন পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অর্থ জালিয়াতি ও আঞ্চলিকতার দাপটের অভিযোগ উঠেছে। রংপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্ণরসহ উপরস্থ কর্মকতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, টাকার বিনিময়ে ব্যাংকের মসজিদে খাদেম নিয়োগ, মাকে নির্ভরশীল দেখিয়ে সিলিং উর্ধ্বো ওষুধ গ্রহণ ও রূপালী ব্যাংক থেকে নিজের মায়ের নামে গৃহীত শিল্প ঋণের গ্রান্টার হওয়াসহ আরো অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাখাওয়াত হোসেন পরিচালক বলেই সঙ্গতকারণে তিনি রংপুর অঞ্চলের ব্যাংকগুলো টাকা উত্তোলন ও জমা দেয়ার প্রক্রিয়া অনুমোদন দিয়ে থাকেন। সাখাওয়াত তার পছন্দের এবং টাকার বিনিময়ে কিছু কিছু ব্যাকে নতুন নোট দিয়ে থাকেন। তাকে ঘুষ না দিলে নতুন নোট দিবেন না। কেউ তার এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তাকে গালাগালি ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান।

ডিজিএম (ক্যাশ) তার আইডি ম্যানুয়াল অনুযায়ী কথা বললে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন, আমি যেভাবে বলি সেভাবেই কাজ করতে হবে। ম্যানুয়ালে ক্যাশ বিভাগের দৈনন্দিন কর্মবণ্টন ডিজিএমের দায়িত্বে থাকলেও পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন তা করতে না দিয়ে নিজেই টেলিফোনের মাধ্যমে পছন্দের কর্মকর্তাদের সুবিধা মতো জায়গায় পোস্টিং দিয়ে থাকেন। তিনি ডিজিএম এর ক্ষমতা খর্ব করে স্টাফদের ছুটির দায়িত্ব নিয়েছেন। তার ইচ্ছেমতো যাকে খুশি তাকে ছুটি দিয়ে থাকেন।

এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে কোন সময় যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ক্যাশ বিভাগের বৈকালিব স্থিতি বুক রাইটিংসহ সকল ক্ষেত্রে লেট সিটিং বন্ধ করে রেখেছেন। সাখাওয়াত হোসেন তার একচ্ছত্র আধিপত্য, উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং নিয়মনীতির পরিপন্থী কাজ অব্যাহত রাখার জন্য অফিসে ৮ জন দুর্বৃত্তকে পুষে থাকেন। তার ক্যাডার হচ্ছে, ভবদীস চন্দ্র রায়, মোস্তাফিজুর রহমান, আল মামুন চৌধুরী, সাদেকুল ইসলাম, নূর ইসলাম, আবদুল কাফি, তরিকুল ইসলাম ও মোশারুল ইসলাম। সাখাওয়াত হোসেনের এই ক্যাডাররা অফিসের নিরীহ ভদ্রলোকদের অপমান, অপদস্থ ও শারীরিক নির্যাতন করে।

অভিযোগকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগে গভর্নর মহোদয়ের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করে আরো অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি আছে। নিয়মনীতি বহির্ভূত জোর করে তার মনগড়া কমিটি দিয়ে সমিতি পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সমিতির সদস্যরা সুষ্ঠু নির্ভাচনের দাবি করে আসলেও পরিচালক সাখাওয়াত প্রশাসন দিয়ে ও তার ক্যাডারদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এই অবৈধ কমিটি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছে এবং অন্যায়ভাবে খরচ করছে। সমিতির সদস্যদের জমানো টাকা এভাবে খরচ করার জন্য সবাই চিন্তিত।