ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

মোঃ আল মনসুর, দিনাজপুর
  • Update Time : ০৪:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৭ Time View

দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি প্রদানের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ সাজেদুল হক।

তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকেলে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশপত্র, দুর্নীতি দমন কমিশন সদর দপ্তর ঢাকা থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন। দুর্নীতি দমন সদর দপ্তর ঢাকা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলি স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই মেয়ে ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক ছেলে রাফিদুর রহিম নামে-বে নামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসন আমলে কোন জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোন মূল্যবান সম্পদ ক্রয় করা হয়ে থাকলে, এই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, দুদক সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশিত পত্র পাওয়ার পর দু’জন অফিস সহকারীকে এ অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা বিগত সরকারের সময়ে নির্দেশ অনুযায়ী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে সংরক্ষিত বালাম বহি অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য পাওয়া গেলে দুদক সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।

প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক-হুইপ ইকবালুর রহিম এর বিরুদ্ধে, বিগত আওয়ালী লীগ সরকারের শাসনামলে, তার অবৈধ ক্ষমতা অপব্যবহার, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজীসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক, নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য দুদক সদর দপ্তরের পরিচালক, সৈয়দ তাহসিনুল হককে দলনেতা করে, সহকারী পরিচালক, মুহাম্মদ জাফর শিবলি সদস্য সচিব ও উপ-সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান খাঁনকে সদস্য করে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুদক অনুসন্ধান টিম কাজ শুরু করেছেন। তারা ঢাকায় তার নিজের নামে ও পরিবার সদস্যদের নামে বাসা, একাধিক ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ জমাকৃত অর্থ এবং এফডিআর তথ্য পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

মোঃ আল মনসুর, দিনাজপুর
Update Time : ০৪:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি প্রদানের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ সাজেদুল হক।

তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকেলে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশপত্র, দুর্নীতি দমন কমিশন সদর দপ্তর ঢাকা থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন। দুর্নীতি দমন সদর দপ্তর ঢাকা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলি স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই মেয়ে ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক ছেলে রাফিদুর রহিম নামে-বে নামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসন আমলে কোন জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোন মূল্যবান সম্পদ ক্রয় করা হয়ে থাকলে, এই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, দুদক সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশিত পত্র পাওয়ার পর দু’জন অফিস সহকারীকে এ অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা বিগত সরকারের সময়ে নির্দেশ অনুযায়ী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে সংরক্ষিত বালাম বহি অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য পাওয়া গেলে দুদক সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।

প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক-হুইপ ইকবালুর রহিম এর বিরুদ্ধে, বিগত আওয়ালী লীগ সরকারের শাসনামলে, তার অবৈধ ক্ষমতা অপব্যবহার, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজীসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক, নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য দুদক সদর দপ্তরের পরিচালক, সৈয়দ তাহসিনুল হককে দলনেতা করে, সহকারী পরিচালক, মুহাম্মদ জাফর শিবলি সদস্য সচিব ও উপ-সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান খাঁনকে সদস্য করে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুদক অনুসন্ধান টিম কাজ শুরু করেছেন। তারা ঢাকায় তার নিজের নামে ও পরিবার সদস্যদের নামে বাসা, একাধিক ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ জমাকৃত অর্থ এবং এফডিআর তথ্য পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে।

নওরোজ/এসএইচ