মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, থানায় মামলা, প্রধান আসামি নিয়ে ধুম্রজাল

- Update Time : ০৩:১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০২ Time View
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। অপরদিকে, মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম তোতার স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, তার বাবার হত্যা মামলাকে ধামাচাপা দিতে তাকে রাজনৈতিক শক্রতার জের ধরে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে, গত সোমবার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামের হানিফ চৌকিদারের ছেলে মো.হারুন (৪০) ও একই গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো.হাসান (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর (৩৫)। তার স্বামী চট্রগ্রামে গাড়ি চালান। উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক দুর্গম চরে ওই নারী তার এক ডির্ভোসী মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার এক দূর সম্পর্কের দেবর প্রায় তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ৬ যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢুকেন। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ। এরপর তারা ওই নারীর দূর সম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে তাকে ও তার মেয়েকে (২০) ঘর থেকে বাহিরে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে আরও বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে এবং অন্যরা তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকেরা তাদের ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিত তোতা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আমি জড়িত নই। গত কিছু দিন আগে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমার বাবা আব্দুল মতিন তোতাকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে রাজ্জাক বাহিনী আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিত নারী রাজ্জাক চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়। মূলত আমার বাবার হত্যা মামলাকে চাপা দিতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিহিংসামূলক আমার নাম জড়িয়ে দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। একই সাথে আমি অপরাধী হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মাথা পেতে নেব।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। নির্যাতিতদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়