ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

পুরান ঢাকার চাঁদাবাজ কালা রহিম আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৪৬ Time View

পুরান ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী কালা রহিমকে চাঁদাবাজি মামলায় আটক করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

রাজধানীর পুরান ঢাকার নবাববাড়ী পুকুর পাড় এলাকা থেকে সোমবার রাতে চাঁদাবাজির মামলার অন্যতম আসামী রহিম (৩২) কে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আসামী রহিম(৩২), পিতা- ইনতিয়াজ মিয়া, যাতা-বানু বেগম, সাং। ১৬/১ আহসানউল্লার রোড, নবাব বাড়ী পুকুরপাড়, কোতয়ালী।

বাদী মোঃ মনির হোসেন (৫৪) শড়ীয়তপুর জেলার নড়িয়া পরাধীন পাইকপাড়া, বর্তমানে তিনি কোতয়ালী থানাধীন বসবাস করেন।

আসামীদের বসত বাড়ি বিভিন্ন জেলায়।

জানা যায়, বাদী পাইকারী পাঞ্জাবি ব্যবসা করেন এবং সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের কোতয়ালী থানাধীন সদরঘাট লঞ্চঘাট শ্রমিক দল সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

গত ইং-০৫/০৮/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকায় কোতোয়ালি থানাধীন ওয়াইজঘাটস্থ ময়লার টাংকির সামনে পাকা রাস্তার উপর বাদীর দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাদী সহ বাদীর সংগঠনের ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

পুরান ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী কালা রহিমকে চাঁদাবাজি মামলায় আটক করেছে পুলিশ।

এরই মধ্যে আকস্মিকভাবে উল্লেখিত বিবাদী রহিম সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন আসামীরা বাদীকে চারপাশ থেকে ঘেরাও করে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়ে বাদীও তার নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হয়ে বেধরক মারপিট করিয়া গুরুত্বর ও রক্তাক্ত জখম করে। প্রাণের ভয়ে বাদী নিজে তার নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ০১ নং বিবাদী মোঃ জাবেল হোসেন পাপন (৪৫) নির্দেশক্রমে অন্যান্য বিবাদীসহ রহিম জোরপূর্বক ডিএমপি, কোতয়ালী থানাধীন ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় বুলবুল ললিত কলার ভিতরে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড় থাপ্পর মারতে থাকে। একপর্যায়ে ০১ নং বিবাদী মোঃ জাবেদ হোসেন পাপন (৪৫) বাদীর কপালেন পিস্তল তাক করে এবং চিৎকার করে বলে “তুই এখন ২০,০০০০০/-(বিশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিবি টাকা যদি না দেস তোরে প্রাণে মেরে ফেলব” বলে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করে। বাদী জীবন বাঁচাতে বিবাদীকে নগদ ১০,০০০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দিয়ে বিবাদীদের নিকট হইতে মুক্তি লাভ করেন বলিয়া বাদী আরো উল্লেখ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী এজাহার নামীয় আসামীদের সাথে রহিম (৩২) একত্রে চলাফেরা করিতো বলিয়া জানা যায়। আসামী রহিম মামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলিয়া তদন্ত কালে তাহার বিরুদ্ধে অধের্ক সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া গেছে আসামীরা জামিনে মুক্তি পাইলে মামলা তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হইতে পারে।

এ বিষয় কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল মিয়া জানান, আসামী রহিম আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী সে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে ও ৫ আগষ্টের আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর এক রাতে দল বদল করে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে ইসলামপুর, নবাববাড়ি, বাদামতলীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করেছে। চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে নবাববাড়ি পুকুর পাড় চমনের গলিতে চর্টার সেলে মারধর করতো সে ১৬ই জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এনামুল মিয়া আরও জানান, রহিম পেশাদার একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। পুলিশ রহিমের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পুরান ঢাকার চাঁদাবাজ কালা রহিম আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর পুরান ঢাকার নবাববাড়ী পুকুর পাড় এলাকা থেকে সোমবার রাতে চাঁদাবাজির মামলার অন্যতম আসামী রহিম (৩২) কে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আসামী রহিম(৩২), পিতা- ইনতিয়াজ মিয়া, যাতা-বানু বেগম, সাং। ১৬/১ আহসানউল্লার রোড, নবাব বাড়ী পুকুরপাড়, কোতয়ালী।

বাদী মোঃ মনির হোসেন (৫৪) শড়ীয়তপুর জেলার নড়িয়া পরাধীন পাইকপাড়া, বর্তমানে তিনি কোতয়ালী থানাধীন বসবাস করেন।

আসামীদের বসত বাড়ি বিভিন্ন জেলায়।

জানা যায়, বাদী পাইকারী পাঞ্জাবি ব্যবসা করেন এবং সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের কোতয়ালী থানাধীন সদরঘাট লঞ্চঘাট শ্রমিক দল সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

গত ইং-০৫/০৮/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকায় কোতোয়ালি থানাধীন ওয়াইজঘাটস্থ ময়লার টাংকির সামনে পাকা রাস্তার উপর বাদীর দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাদী সহ বাদীর সংগঠনের ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

পুরান ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী কালা রহিমকে চাঁদাবাজি মামলায় আটক করেছে পুলিশ।

এরই মধ্যে আকস্মিকভাবে উল্লেখিত বিবাদী রহিম সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন আসামীরা বাদীকে চারপাশ থেকে ঘেরাও করে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়ে বাদীও তার নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হয়ে বেধরক মারপিট করিয়া গুরুত্বর ও রক্তাক্ত জখম করে। প্রাণের ভয়ে বাদী নিজে তার নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ০১ নং বিবাদী মোঃ জাবেল হোসেন পাপন (৪৫) নির্দেশক্রমে অন্যান্য বিবাদীসহ রহিম জোরপূর্বক ডিএমপি, কোতয়ালী থানাধীন ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় বুলবুল ললিত কলার ভিতরে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড় থাপ্পর মারতে থাকে। একপর্যায়ে ০১ নং বিবাদী মোঃ জাবেদ হোসেন পাপন (৪৫) বাদীর কপালেন পিস্তল তাক করে এবং চিৎকার করে বলে “তুই এখন ২০,০০০০০/-(বিশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিবি টাকা যদি না দেস তোরে প্রাণে মেরে ফেলব” বলে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করে। বাদী জীবন বাঁচাতে বিবাদীকে নগদ ১০,০০০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দিয়ে বিবাদীদের নিকট হইতে মুক্তি লাভ করেন বলিয়া বাদী আরো উল্লেখ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী এজাহার নামীয় আসামীদের সাথে রহিম (৩২) একত্রে চলাফেরা করিতো বলিয়া জানা যায়। আসামী রহিম মামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলিয়া তদন্ত কালে তাহার বিরুদ্ধে অধের্ক সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া গেছে আসামীরা জামিনে মুক্তি পাইলে মামলা তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হইতে পারে।

এ বিষয় কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল মিয়া জানান, আসামী রহিম আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী সে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে ও ৫ আগষ্টের আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর এক রাতে দল বদল করে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে ইসলামপুর, নবাববাড়ি, বাদামতলীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করেছে। চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে নবাববাড়ি পুকুর পাড় চমনের গলিতে চর্টার সেলে মারধর করতো সে ১৬ই জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এনামুল মিয়া আরও জানান, রহিম পেশাদার একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। পুলিশ রহিমের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।