ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরী স্ত্রী রেখে পরকীয়ার অভিযোগ এক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে

নওরোজ রিপোর্ট
  • Update Time : ০৫:২৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩৯ Time View

আইন অঙ্গন নেক্সাস ক্রাইম, আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক অনাচার, অত্যাচার-নিপীড়ন তথা বঞ্চিত বিড়ম্বিত বনি আদমের শেষ ভরসাস্থল। মানুষ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে কোথাও যখন ন্যায় বিচার পায় না, তখন অনন্যোপায় মানুষ ছুটে যায় আইন অঙ্গনে। বিচারের আশায় তারা কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই বিচারকের আসনে বসে কেউ যদি ব্যভিচার, অনাচার, পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যৌতুকের দাবি করে তখন তাকে সৎ ন্যায় বিচারক বলা যায় না। মর্যাদাশীল এই মহামূল্যবান পদে অভিষিক্ত ব্যক্তিকে কেউ তখন সম্মানের চোখে দেখে না। নীতিবহির্ভূত কাজের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তির কাছে ন্যায় বিচার আশা করা দুরাশায় পরিণত হয়।

এস এম মনিরুজ্জামান নামে এমনই এক বিচারকের বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্ক, যৌতুক দাবী, স্ত্রী সন্তানদের ভরণ-পোষণ না দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আইন ও বিচার সচিব, আইন উপদেষ্টাসহ সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার স্ত্রী।নওগাঁ জেলা জজ আদালতে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম মনিরুজ্জামান।

তিনি ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর ইসলামী বিধান মোতাবেক সাতক্ষীরার এক ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ীর (যিনি জেলার সর্বোচ্চ করদাতা) মেয়েকে বিয়ে করেন। পরধনলোভী এই মনিরুজ্জামান শুরু থেকেই স্ত্রীকে চাপে ফেলে তার পিতার কাছ থেকে ইতোমধ্যেই লক্ষ লক্ষ টাকা যৌতুক আদায় করে নিয়েছেন।

বিভিন্ন সময় এই যৌতুকের মোটা অংকের টাকা শ্বশুরের ব্যাংক হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিয়ে নিজের একাউন্টে জমিয়েছেন। স্ত্রীর গর্ভের দুই কন্যা সন্তান ফুটফুট চাঁদের মত একজনের বয়স ১১ আরেকজনের বয়স ৫ বছর। পিতার বিত্ত বৈভবের প্রতি লালায়িত এই জজ সাহেব দফায় দফায় স্ত্রীকে দিয়ে শ্বশুর বাড়ী থেকে যৌতুক আনলেও পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন হবার আশংকায় সর্বোপরি দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এতদিন নীরবে সহ্য করেছেন স্বামীর অন্যায় আবদার। কিন্তু বাধ সেজেছে তার স্বামীর পরকীয়ায় জড়িত হবার ঘটনা। বিষয়টি স্ত্রীর কাছে প্রকাশ্য হয়ে পড়ায় মেনে নিতে পারেননি ধনীর দুলালী স্ত্রী।

সামাজিকভাবে দুর্নাম ছড়াবে এই কারণে স্ত্রীর নামটি গোপন রাখলাম। পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণে বিচারক স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে পুনরায় এক কোটি টাকা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী তা প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। এরপর নেমে আসে তার প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

গত শীত মৌসুমে নওগাঁর তাপমাত্রা যখন ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে যায়, সেই কনকনে শীতের মধ্যে রাতের বেলায় অসুস্থ দুই কন্যাসহ স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন পরকীয়ায় মত্ত¡ বিবেকহীন বিচারক স্বামী মনিরুজ্জামান। গভীর রাতে কোথায় যাবে, কার কাছে আশ্রয় নিবে এই ভেবে নওগাঁ জেলা জজ শামিম আহমদের বাসায় যান স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে। স্ত্রীর দাবি, কনকনে শীতের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা জজ মহোদয়ের সাক্ষাত চেয়ে পাননি।
পরদিন অফিসে জেলা জজের সাথে দেখা করতে চেয়েও বিফল মনোরথে ফিরে আসেন। এদিকে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সংবাদ চাউর হয়ে গেলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্টো প্রচারণা শুরু করে, তার স্ত্রী পাগল। পাগলামী করে বেরিয়ে গেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, স্ত্রী যদি পাগলই হয় তাহলে তাকে তো চিকিৎসা দেয়া উচিত ছিল। তা না করে স্ত্রীর সাথে নিজ ঔরসজাত দুই কন্যা সন্তানকে কিভাবে বাড়ী থেকে বের করে দেয়? এটা কি কোন স্বামী বা পিতা করতে পারেন? চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিব বরাবরে এক লিখিত আবেদনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

ভিকটিম স্ত্রীর অভিযোগে বলা হয়, বসুন্ধরা থেকে বিচারকদের নামে বরাদ্দ করা প্লটের কিস্তির ৪৪ লক্ষ ১৬ হাজার টাকাও স্ত্রীকে পরিশোধ করতে হয়েছে। প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা করে বাপের বাড়ী থেকে এনে পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তার জীবনের প্রথম প্রাইভেট কার কেনার টাকাও বাপের বাড়ী থেকে এনে দিতে হয়েছে।

স্ত্রী এই প্রতিবেদকের কাছে জানান, এর আগের আইন সচিব গোলাম সারোয়ার এবং আইনমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক তথ্য পাওয়া গেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠবে। সুধী পাঠক এই লোমহর্ষক ঘটনা জানতে চোখ রাখুন আগামী সংখ্যার দৈনিক নওরোজের পাতায়।

Please Share This Post in Your Social Media

সুন্দরী স্ত্রী রেখে পরকীয়ার অভিযোগ এক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে

নওরোজ রিপোর্ট
Update Time : ০৫:২৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

আইন অঙ্গন নেক্সাস ক্রাইম, আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক অনাচার, অত্যাচার-নিপীড়ন তথা বঞ্চিত বিড়ম্বিত বনি আদমের শেষ ভরসাস্থল। মানুষ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে কোথাও যখন ন্যায় বিচার পায় না, তখন অনন্যোপায় মানুষ ছুটে যায় আইন অঙ্গনে। বিচারের আশায় তারা কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই বিচারকের আসনে বসে কেউ যদি ব্যভিচার, অনাচার, পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যৌতুকের দাবি করে তখন তাকে সৎ ন্যায় বিচারক বলা যায় না। মর্যাদাশীল এই মহামূল্যবান পদে অভিষিক্ত ব্যক্তিকে কেউ তখন সম্মানের চোখে দেখে না। নীতিবহির্ভূত কাজের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তির কাছে ন্যায় বিচার আশা করা দুরাশায় পরিণত হয়।

এস এম মনিরুজ্জামান নামে এমনই এক বিচারকের বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্ক, যৌতুক দাবী, স্ত্রী সন্তানদের ভরণ-পোষণ না দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আইন ও বিচার সচিব, আইন উপদেষ্টাসহ সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার স্ত্রী।নওগাঁ জেলা জজ আদালতে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম মনিরুজ্জামান।

তিনি ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর ইসলামী বিধান মোতাবেক সাতক্ষীরার এক ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ীর (যিনি জেলার সর্বোচ্চ করদাতা) মেয়েকে বিয়ে করেন। পরধনলোভী এই মনিরুজ্জামান শুরু থেকেই স্ত্রীকে চাপে ফেলে তার পিতার কাছ থেকে ইতোমধ্যেই লক্ষ লক্ষ টাকা যৌতুক আদায় করে নিয়েছেন।

বিভিন্ন সময় এই যৌতুকের মোটা অংকের টাকা শ্বশুরের ব্যাংক হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিয়ে নিজের একাউন্টে জমিয়েছেন। স্ত্রীর গর্ভের দুই কন্যা সন্তান ফুটফুট চাঁদের মত একজনের বয়স ১১ আরেকজনের বয়স ৫ বছর। পিতার বিত্ত বৈভবের প্রতি লালায়িত এই জজ সাহেব দফায় দফায় স্ত্রীকে দিয়ে শ্বশুর বাড়ী থেকে যৌতুক আনলেও পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন হবার আশংকায় সর্বোপরি দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এতদিন নীরবে সহ্য করেছেন স্বামীর অন্যায় আবদার। কিন্তু বাধ সেজেছে তার স্বামীর পরকীয়ায় জড়িত হবার ঘটনা। বিষয়টি স্ত্রীর কাছে প্রকাশ্য হয়ে পড়ায় মেনে নিতে পারেননি ধনীর দুলালী স্ত্রী।

সামাজিকভাবে দুর্নাম ছড়াবে এই কারণে স্ত্রীর নামটি গোপন রাখলাম। পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণে বিচারক স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে পুনরায় এক কোটি টাকা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী তা প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। এরপর নেমে আসে তার প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

গত শীত মৌসুমে নওগাঁর তাপমাত্রা যখন ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে যায়, সেই কনকনে শীতের মধ্যে রাতের বেলায় অসুস্থ দুই কন্যাসহ স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন পরকীয়ায় মত্ত¡ বিবেকহীন বিচারক স্বামী মনিরুজ্জামান। গভীর রাতে কোথায় যাবে, কার কাছে আশ্রয় নিবে এই ভেবে নওগাঁ জেলা জজ শামিম আহমদের বাসায় যান স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে। স্ত্রীর দাবি, কনকনে শীতের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা জজ মহোদয়ের সাক্ষাত চেয়ে পাননি।
পরদিন অফিসে জেলা জজের সাথে দেখা করতে চেয়েও বিফল মনোরথে ফিরে আসেন। এদিকে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সংবাদ চাউর হয়ে গেলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্টো প্রচারণা শুরু করে, তার স্ত্রী পাগল। পাগলামী করে বেরিয়ে গেছে।

প্রশ্ন উঠেছে, স্ত্রী যদি পাগলই হয় তাহলে তাকে তো চিকিৎসা দেয়া উচিত ছিল। তা না করে স্ত্রীর সাথে নিজ ঔরসজাত দুই কন্যা সন্তানকে কিভাবে বাড়ী থেকে বের করে দেয়? এটা কি কোন স্বামী বা পিতা করতে পারেন? চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিব বরাবরে এক লিখিত আবেদনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

ভিকটিম স্ত্রীর অভিযোগে বলা হয়, বসুন্ধরা থেকে বিচারকদের নামে বরাদ্দ করা প্লটের কিস্তির ৪৪ লক্ষ ১৬ হাজার টাকাও স্ত্রীকে পরিশোধ করতে হয়েছে। প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা করে বাপের বাড়ী থেকে এনে পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তার জীবনের প্রথম প্রাইভেট কার কেনার টাকাও বাপের বাড়ী থেকে এনে দিতে হয়েছে।

স্ত্রী এই প্রতিবেদকের কাছে জানান, এর আগের আইন সচিব গোলাম সারোয়ার এবং আইনমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক তথ্য পাওয়া গেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠবে। সুধী পাঠক এই লোমহর্ষক ঘটনা জানতে চোখ রাখুন আগামী সংখ্যার দৈনিক নওরোজের পাতায়।