ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নটরডেম কলেজ স্টাফ লিপিকা গোমেজ এর চাঞ্চচল্যকর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

আরিফুল হক নোভেল
  • Update Time : ০৪:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬ Time View

নটরডেম কলেজ স্টাফ লিপিকা গোমেজ। (ফাইল ফটো )

ঢাকার সূত্রাপুরের চাঞ্চচল্যকর নটরডেম কলেজ স্টাফ লিপিকা গোমেজ এর চাঞ্চচল্যকর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী জুয়েল (২১) এবং নজরুল (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  সকাল ১১.৩০ টায় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই এর ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জনাব মোঃ সায়েদুর রহমান। এ সময় পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর ইউনিট ইনচার্জ জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম—সেবা, অতিরিক্ত উপ—পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড সিআরও পূর্বাঞ্চল) জনাব মোঃ আবু ইউসুফ এবং পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল ফটো।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকা নটরডেম কলেজের স্টাফ লিপিকা গোমেজ (৪০), পিতা—ফ্রান্সিস গোমেজ, মাতা—মারচ্ছেলা গোমেজ, সাং—হাসনাবাদ, থানা—নবাবগঞ্জ, জেলা—ঢাকা সূত্রাপুর থানাধীন ৭৫ নং ঋষিকেশ দাস রোডের ৪র্থ তলার বর্তমান ভাড়া বাসায় খুন হন। তিনি ঢাকা নটরডেম কলেজে অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি উক্ত বাসায় একাকী বসবাস করতেন। প্রায় ১৮ বছর পূর্বে তার স্বামী মাহাবুবুল আলমের সাথে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। তার কোন সন্তানাদি নেই। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ প্রতিদিনের ন্যায় লিপিকা গোমেজ তার অফিসে গিয়েছিলেন। তিনি ছুটির পরে তার বাসায় চলে আসেন।

পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ সকালে লিপিকা গোমেজ কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও তার খবর সংগ্রহের জন্য স্টাফ জনি ও জয়দেবকে লিপিকা গোমেজের বাসায় পাঠান। জনি ও জয়দেব লিপিকা গোমেজের বাসায় আসলে কেয়ারটেকার মিতু তাদের নিয়ে দুপুর আনুমানিক ০১.০০ ঘটিকায় লিপিকা গোমেজের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে লিপিকা গোমেজের শয়ন কক্ষের খাটের উপরে তার মৃতদেহ দেখতে পান। সংবাদ পাওয়ার পর ভিকটিমের মামাতো ভাই প্রিন্স গোমেজ দ্রুত লিপিকা গোমেজের বাসায় আসেন এবং উপস্থিত অন্যান্য লোকজনসহ ভিকটিমের মৃতদেহ দেখেন। তিনি পুলিশকে সংবাদ দিলে সূত্রাপুর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকায় প্রেরণ করেন। তার মাথায় বাম পাশে ভোতা অস্ত্রের আঘাত (কাটা দাগ) ও বিছানায়, বালিশে জমাট বাঁধা রক্ত দেখা যায়। আসামীরা লিপিকা গমেজের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে তাকে হত্যা করে ফ্ল্যাটের সামনের দরজায় ভিকটিমের ব্যবহৃত তালা দিয়ে তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের মামাতো ভাই প্রিন্স গোমেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানার মামলা নং—৭(৯)২৪, ধারা—৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন।

জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (পূবার্ঞ্চল) এবং জনাব মোঃ সায়েদুর রহমান, ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল), পিবিআই মহোদয় দ্বয়ের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক—নির্দেশনায় এবং পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম—সেবা এর নিবিড় তদারকিতে পিবিআই, ঢাকা মেট্রো (উত্তর)  ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্তের এক পর্যায়ে পিবিআই, ঢাকা মেট্রো (উত্তর), ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আসামী ১। জুয়েল (২১) এবং ২। নজরুল (২২) দ্বয়কে গ্রেফতার করে। পিবিআইয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা উভয়েই ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের হেফাজত হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১ টি নোজ প্লাস, ০২ টি স্ক্রু ড্রাইভার এবং ভিকটিমের চুরি যাওয়া বিভিন্ন মালামাল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তদন্তে জানা যায় যে, জুয়েল রানা নজরুলদের বাসায় মেসে খেতো। সেখান থেকেই তাদের পরিচয় এবং ৭—৮ বছরের বন্ধুত্ব। জুয়েল রানা নজরুলকে জানায় তার পাশের বিল্ডিং এর চতুর্থ তলায় একজন মহিলা একা থাকে। তার কোনো স্বামী ও সন্তান নেই। তার বাসায় চুরি করলে অনেক টাকা পয়সা পাওয়া যাবে। পরিকল্পনা মোতাবেক জুয়েল রানা তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ঘটনার তারিখে রাত অনুমান ১১টার দিকে নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় আসে। রাত অনুমান ১ ঘটিকায় নজরুল ছাদের উপর দিয়ে এসে রশির সাহায্যে ঝুলে ভিকটিমের বাসার পিছনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। নজরুল বাসার মেইন দরজা খুলে ছাদে গিয়ে জুয়েল রানাকে ডেকে আনে। তারা একত্রে বাসায় চুরি করার সময় ভিকটিম শব্দ করলে নজরুল একটি লোহার পাইপ দিয়ে ভিকটিমের মাথায় সজোরে আঘাত করে এবং জুয়েল রানা বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরলে ভিকটিম তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করে। তারা উভয়ই ভিকটিমের দুইটি মোবাইল, হাত ব্যাগ নিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে জুয়েল রানার বাসায় চলে যায়। সেখানে দু’জনে হাত ব্যাগে থাকা ২৬,৩৫০/— (ছাব্বিশ হাজার তিনশত পঞ্চাশ) টাকা ভাগ করে নেয়। ভোরে নজরুল বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোন দুটি ৩,৫০০/— (তিন হাজার পাঁচশত) টাকায় শিবলু হোসেন জয়ের নিকট বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেয়। আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের নিমিত্তে প্রেরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

নটরডেম কলেজ স্টাফ লিপিকা গোমেজ এর চাঞ্চচল্যকর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

আরিফুল হক নোভেল
Update Time : ০৪:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকার সূত্রাপুরের চাঞ্চচল্যকর নটরডেম কলেজ স্টাফ লিপিকা গোমেজ এর চাঞ্চচল্যকর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী জুয়েল (২১) এবং নজরুল (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  সকাল ১১.৩০ টায় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই এর ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জনাব মোঃ সায়েদুর রহমান। এ সময় পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর ইউনিট ইনচার্জ জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম—সেবা, অতিরিক্ত উপ—পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড সিআরও পূর্বাঞ্চল) জনাব মোঃ আবু ইউসুফ এবং পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল ফটো।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রাতে ঢাকা নটরডেম কলেজের স্টাফ লিপিকা গোমেজ (৪০), পিতা—ফ্রান্সিস গোমেজ, মাতা—মারচ্ছেলা গোমেজ, সাং—হাসনাবাদ, থানা—নবাবগঞ্জ, জেলা—ঢাকা সূত্রাপুর থানাধীন ৭৫ নং ঋষিকেশ দাস রোডের ৪র্থ তলার বর্তমান ভাড়া বাসায় খুন হন। তিনি ঢাকা নটরডেম কলেজে অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি উক্ত বাসায় একাকী বসবাস করতেন। প্রায় ১৮ বছর পূর্বে তার স্বামী মাহাবুবুল আলমের সাথে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। তার কোন সন্তানাদি নেই। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ প্রতিদিনের ন্যায় লিপিকা গোমেজ তার অফিসে গিয়েছিলেন। তিনি ছুটির পরে তার বাসায় চলে আসেন।

পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ সকালে লিপিকা গোমেজ কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও তার খবর সংগ্রহের জন্য স্টাফ জনি ও জয়দেবকে লিপিকা গোমেজের বাসায় পাঠান। জনি ও জয়দেব লিপিকা গোমেজের বাসায় আসলে কেয়ারটেকার মিতু তাদের নিয়ে দুপুর আনুমানিক ০১.০০ ঘটিকায় লিপিকা গোমেজের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে লিপিকা গোমেজের শয়ন কক্ষের খাটের উপরে তার মৃতদেহ দেখতে পান। সংবাদ পাওয়ার পর ভিকটিমের মামাতো ভাই প্রিন্স গোমেজ দ্রুত লিপিকা গোমেজের বাসায় আসেন এবং উপস্থিত অন্যান্য লোকজনসহ ভিকটিমের মৃতদেহ দেখেন। তিনি পুলিশকে সংবাদ দিলে সূত্রাপুর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকায় প্রেরণ করেন। তার মাথায় বাম পাশে ভোতা অস্ত্রের আঘাত (কাটা দাগ) ও বিছানায়, বালিশে জমাট বাঁধা রক্ত দেখা যায়। আসামীরা লিপিকা গমেজের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে তাকে হত্যা করে ফ্ল্যাটের সামনের দরজায় ভিকটিমের ব্যবহৃত তালা দিয়ে তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের মামাতো ভাই প্রিন্স গোমেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানার মামলা নং—৭(৯)২৪, ধারা—৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন।

জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (পূবার্ঞ্চল) এবং জনাব মোঃ সায়েদুর রহমান, ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল), পিবিআই মহোদয় দ্বয়ের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক—নির্দেশনায় এবং পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম—সেবা এর নিবিড় তদারকিতে পিবিআই, ঢাকা মেট্রো (উত্তর)  ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্তের এক পর্যায়ে পিবিআই, ঢাকা মেট্রো (উত্তর), ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আসামী ১। জুয়েল (২১) এবং ২। নজরুল (২২) দ্বয়কে গ্রেফতার করে। পিবিআইয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা উভয়েই ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের হেফাজত হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১ টি নোজ প্লাস, ০২ টি স্ক্রু ড্রাইভার এবং ভিকটিমের চুরি যাওয়া বিভিন্ন মালামাল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তদন্তে জানা যায় যে, জুয়েল রানা নজরুলদের বাসায় মেসে খেতো। সেখান থেকেই তাদের পরিচয় এবং ৭—৮ বছরের বন্ধুত্ব। জুয়েল রানা নজরুলকে জানায় তার পাশের বিল্ডিং এর চতুর্থ তলায় একজন মহিলা একা থাকে। তার কোনো স্বামী ও সন্তান নেই। তার বাসায় চুরি করলে অনেক টাকা পয়সা পাওয়া যাবে। পরিকল্পনা মোতাবেক জুয়েল রানা তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ঘটনার তারিখে রাত অনুমান ১১টার দিকে নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় আসে। রাত অনুমান ১ ঘটিকায় নজরুল ছাদের উপর দিয়ে এসে রশির সাহায্যে ঝুলে ভিকটিমের বাসার পিছনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। নজরুল বাসার মেইন দরজা খুলে ছাদে গিয়ে জুয়েল রানাকে ডেকে আনে। তারা একত্রে বাসায় চুরি করার সময় ভিকটিম শব্দ করলে নজরুল একটি লোহার পাইপ দিয়ে ভিকটিমের মাথায় সজোরে আঘাত করে এবং জুয়েল রানা বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরলে ভিকটিম তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করে। তারা উভয়ই ভিকটিমের দুইটি মোবাইল, হাত ব্যাগ নিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে জুয়েল রানার বাসায় চলে যায়। সেখানে দু’জনে হাত ব্যাগে থাকা ২৬,৩৫০/— (ছাব্বিশ হাজার তিনশত পঞ্চাশ) টাকা ভাগ করে নেয়। ভোরে নজরুল বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোন দুটি ৩,৫০০/— (তিন হাজার পাঁচশত) টাকায় শিবলু হোসেন জয়ের নিকট বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেয়। আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের নিমিত্তে প্রেরণ করা হয়েছে।