ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:১৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯ Time View

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের টিআর,কাবিটা,কাবিখা প্রকল্পের কাজের মান জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই অফিসটিতে ২০২৩/২৪ অর্থ বছরে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বরাদ্দ আসে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন যেন সকল মানুষের মনে এক প্রেরণার সৃষ্টি করেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ৮ নং ধোপাডাঙ্গার ডিসি রাস্তা হইতে জেলে পাড়ার রাস্তা নির্মাণ,পাকুরতলা হতে হাজির ভিটা রাস্তা সংষ্কার,আইডিয়াল স্কুল হতে রশিদ ব্যাপারীর বাড়ি রাস্তা সংষ্কার, ধর্মীয় উপসনালয়গুলোর উন্নয়নসহ অনেক ভালো কাজ হয়েছে।
রামজীবন ইউনিয়নের মাষ্টারের মোড়ে রাস্তা উন্নয়ন, বেলকা ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম উন্নয়নসহ অবকাঠামোর কাজ যেন প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে।।।

জানা যায়, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ১ লক্ষ বা ৫০ হাজার টাকার হলে ২ টি কিস্তি এবং এক লক্ষ টাকার ওপরে হলে তিনটি কিস্তির মাধ্যমে বিল প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট অফিস।
তবে ১ম কিস্তির টাকা ছাড় দেয়ার ক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান নিশ্চিত করে ২য় কিস্তি বা চূড়ান্ত বিল প্রদান করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে পিআইও অফিসের ইন্জিনিয়ার বা কার্য সহকারী এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল নিজে পরিদর্শন করে কাজ বুঝে নেন।

প্রকাশ থাকে যে, কাজের মান ও গুণাগুণ সঠিক না হলে ওয়ালিফ মন্ডল কোন বিল ছাড়েন না। তাঁর এই কর্মদক্ষতার কারণে আজ সুন্দরগঞ্জবাসী সঠিক উন্নয়নের রূপরেখা দেখতে পেয়েছেন।

উন্নয়ন এবং প্রকল্পের বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মন্ডল জানান, আমাদের পিআইও স্যার অনেক ভালো মনের মানুষ। সকল প্রকল্পের সঠিক তদারকি আর বিল ছাড় দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সচেতন যা একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার পরিচয় বহন করে। তাকে পেয়ে আমরা অনেক খুশী। তার এই কর্মদক্ষতাকে অনেক শ্রদ্ধা করি।

এ দিকে রামজীবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হুদা জানান, একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে যত নিয়ম তা সঠিকভাবে বুঝে নেন পিআইও ওয়ালিফ মন্ডল। কাজগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা তাকে সবসময় সহযোগিতা করি। তবে তাঁর একটা দিক ভালো তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে অনেক আন্তরিক।

এক বিশেষ বিবৃতিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, প্রকল্পের অনুমোদন, বাস্তবায়ন, বিল ছাড়করণ সব দিক দিয়ে আমরা সজাগ। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছর নয় বরং আমার চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে ভালো ভাবে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি সবসময় একটা কথা চিন্তা করি জনগণের টাকায় আমার বেতন হয় আর আমি জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য চাকরি করছি। জীবনের বাকী সময়টুকু মানুষের সেবা করে বেঁচে থাকতে চাই এমনটাই দোয়া কামনা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

সুন্দরগঞ্জে প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:১৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের টিআর,কাবিটা,কাবিখা প্রকল্পের কাজের মান জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই অফিসটিতে ২০২৩/২৪ অর্থ বছরে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বরাদ্দ আসে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন যেন সকল মানুষের মনে এক প্রেরণার সৃষ্টি করেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ৮ নং ধোপাডাঙ্গার ডিসি রাস্তা হইতে জেলে পাড়ার রাস্তা নির্মাণ,পাকুরতলা হতে হাজির ভিটা রাস্তা সংষ্কার,আইডিয়াল স্কুল হতে রশিদ ব্যাপারীর বাড়ি রাস্তা সংষ্কার, ধর্মীয় উপসনালয়গুলোর উন্নয়নসহ অনেক ভালো কাজ হয়েছে।
রামজীবন ইউনিয়নের মাষ্টারের মোড়ে রাস্তা উন্নয়ন, বেলকা ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম উন্নয়নসহ অবকাঠামোর কাজ যেন প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে।।।

জানা যায়, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ১ লক্ষ বা ৫০ হাজার টাকার হলে ২ টি কিস্তি এবং এক লক্ষ টাকার ওপরে হলে তিনটি কিস্তির মাধ্যমে বিল প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট অফিস।
তবে ১ম কিস্তির টাকা ছাড় দেয়ার ক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান নিশ্চিত করে ২য় কিস্তি বা চূড়ান্ত বিল প্রদান করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে পিআইও অফিসের ইন্জিনিয়ার বা কার্য সহকারী এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল নিজে পরিদর্শন করে কাজ বুঝে নেন।

প্রকাশ থাকে যে, কাজের মান ও গুণাগুণ সঠিক না হলে ওয়ালিফ মন্ডল কোন বিল ছাড়েন না। তাঁর এই কর্মদক্ষতার কারণে আজ সুন্দরগঞ্জবাসী সঠিক উন্নয়নের রূপরেখা দেখতে পেয়েছেন।

উন্নয়ন এবং প্রকল্পের বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মন্ডল জানান, আমাদের পিআইও স্যার অনেক ভালো মনের মানুষ। সকল প্রকল্পের সঠিক তদারকি আর বিল ছাড় দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সচেতন যা একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার পরিচয় বহন করে। তাকে পেয়ে আমরা অনেক খুশী। তার এই কর্মদক্ষতাকে অনেক শ্রদ্ধা করি।

এ দিকে রামজীবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হুদা জানান, একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে যত নিয়ম তা সঠিকভাবে বুঝে নেন পিআইও ওয়ালিফ মন্ডল। কাজগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা তাকে সবসময় সহযোগিতা করি। তবে তাঁর একটা দিক ভালো তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে অনেক আন্তরিক।

এক বিশেষ বিবৃতিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, প্রকল্পের অনুমোদন, বাস্তবায়ন, বিল ছাড়করণ সব দিক দিয়ে আমরা সজাগ। শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছর নয় বরং আমার চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে ভালো ভাবে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি সবসময় একটা কথা চিন্তা করি জনগণের টাকায় আমার বেতন হয় আর আমি জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য চাকরি করছি। জীবনের বাকী সময়টুকু মানুষের সেবা করে বেঁচে থাকতে চাই এমনটাই দোয়া কামনা করছি।