ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পুলিশের সাথে রোহিঙ্গা কিশোরী উধাও নোয়াখালীতে দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষীদাতা সিরু বাঙালির ফাঁসির দাবি উন্নয়ন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে রংপুর: একনেক থেকে বাদ পড়লো উন্নয়ন প্রকল্প আ’লীগ নেতা তুষার কান্তির ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিলেট ওসমানী মেডিকেলের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক মানহানি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান বসুন্ধরা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা

নোয়াখালীতে দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩ Time View

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমানকে (৩২) জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

নোয়াখালীতে দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমানকে (৩২) জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।