ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

ত্বকী হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার জামশেদ শেখের ৫ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৩৭ Time View

নারায়ণগঞ্জে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক ও সহযোগী জামশেদ শেখকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজমেরী ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে এবং সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মিরপুর থেকে জামশেদকে আটক করে র‍্যাব-১১। এরপর দুপুরে ত্বকী হত্যা মামলার র‍্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা জামশেদকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার এ মামলার তিন আসামি শাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় র‌্যাব।

এ বিষয়ে ত্বকী হত্যা মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু জানান, ত্বকী হত্যা মামলার বিচার চেয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ। শওকত সুলতান ভ্রমরের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ত্বকী হত্যায় জড়িত জামশেদের নাম উঠে এসেছিল। আমরা চাই এ মামলার দ্রুত বিচার করা হোক।

২০১৩ সালের ৭ মার্চ মেধাবী শিক্ষার্থী ত্বকী নিখোঁজ হয় এবং পরদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাবের ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় ত্বকীকে। এরপর তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

ত্বকী হত্যার ঘটনায় এর আগে ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ব্রমোর, রিফাত, তায়েব উদ্দিন ও সীমন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ ও সুলতান ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ স্বীকার করেন। বাকি পাঁচজন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নিখোঁজ হয়। পরদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের গোপন তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ত্বকীকে অপহরণ করে এবং পরে নির্যাতন করে হত্যা করে।

Please Share This Post in Your Social Media

ত্বকী হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার জামশেদ শেখের ৫ দিনের রিমান্ড

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
Update Time : ১২:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক ও সহযোগী জামশেদ শেখকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজমেরী ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে এবং সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মিরপুর থেকে জামশেদকে আটক করে র‍্যাব-১১। এরপর দুপুরে ত্বকী হত্যা মামলার র‍্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা জামশেদকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার এ মামলার তিন আসামি শাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় র‌্যাব।

এ বিষয়ে ত্বকী হত্যা মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু জানান, ত্বকী হত্যা মামলার বিচার চেয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ। শওকত সুলতান ভ্রমরের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ত্বকী হত্যায় জড়িত জামশেদের নাম উঠে এসেছিল। আমরা চাই এ মামলার দ্রুত বিচার করা হোক।

২০১৩ সালের ৭ মার্চ মেধাবী শিক্ষার্থী ত্বকী নিখোঁজ হয় এবং পরদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাবের ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় ত্বকীকে। এরপর তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

ত্বকী হত্যার ঘটনায় এর আগে ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ব্রমোর, রিফাত, তায়েব উদ্দিন ও সীমন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ ও সুলতান ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ স্বীকার করেন। বাকি পাঁচজন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নিখোঁজ হয়। পরদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের গোপন তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ত্বকীকে অপহরণ করে এবং পরে নির্যাতন করে হত্যা করে।