ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শিক্ষক নিবন্ধনের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষায় প্রথম কুবির সাবরিনা সাদাপাথর লুটকারীরা বড় দলের কিংবা প্রশাসনের হলেও ছাড় পাবে না শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে সরকার কুবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টায় দুটি বাস সহ গ্রেফতার ২ নোয়াখালীতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা অ্যাকশনে নেমেছেন সিলেটের নতুন ডিসি মো. সারওয়ার আলম সম্পত্তির জন‍্য পিতাকে কোপালো দুই ছেলে মহাদেবপুরে ধর্ষককে ছেড়ে দিয়ে নির্যাতিতাকে তালাক দেওয়ালেন মাতব্বররা নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মি হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সিলেটে হাই-টেক পার্কের নাম থেকে বাদ যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’

সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩০০ Time View

সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের নাম বদলে যাচ্ছে। এই পার্কের নাম থেকে বাদ যাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু বাদ দিয়ে এই হাই-টেক পার্কের নাম হবে ‘সিলেট হাই-টেক পার্ক’।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বুধবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় দেশের সকল হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এখন থেকে এসবের নাম সংশ্লিষ্ট জেলার নামে পরিবর্তন করা হবে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় প্রায় ১৬৩ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠেছে হাই-টেক পার্ক। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করেছে।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন পায়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর অভধি ছিল। পরে মেয়াদ বাড়ে দুই দফায়।  এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘হাই-টেক পার্কে জমি বরাদ্দ দেওয়া এবং বাতিল করার বিষয় অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করা দরকার।’ নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশব্যাপী হাই-টেক পার্ক তৈরি করা হয়েছিল, সে অনুযায়ী প্রত্যাশিত ফল আমরা পাইনি। না পাওয়ার ক্ষেত্রে কতোটুকু রাজনৈতিক কারণ ছিল, কি পরিমাণ দুর্নীতি ছিল বা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কোনো ঘাটতি ছিল কি না, সে বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করা গেলে সামনের দিকে কাজ করা সহজ হবে।’ এ ক্ষেত্রে বাইরের দেশগুলো কীভাবে কাজ করছে এবং আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কীভাবে আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আরও স্টাডি করার প্রয়োজন।’

এদিকে, সভায় হাই-টেক পার্কের ডরমিটরিগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ আরও কয়েকজনের নামে করার প্রস্তাব ওঠে। কিন্তু উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাতে সায় দেননি।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো তাড়াহুড়া করার দরকার নেই। আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি এমনভাবে ধারণ করা হবে, যাতে করে সেগুলো সারা জীবন থাকে।’

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে হাই-টেক পার্কের নাম থেকে বাদ যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’

সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৫০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের নাম বদলে যাচ্ছে। এই পার্কের নাম থেকে বাদ যাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু বাদ দিয়ে এই হাই-টেক পার্কের নাম হবে ‘সিলেট হাই-টেক পার্ক’।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বুধবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় দেশের সকল হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এখন থেকে এসবের নাম সংশ্লিষ্ট জেলার নামে পরিবর্তন করা হবে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় প্রায় ১৬৩ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠেছে হাই-টেক পার্ক। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করেছে।

২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন পায়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর অভধি ছিল। পরে মেয়াদ বাড়ে দুই দফায়।  এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘হাই-টেক পার্কে জমি বরাদ্দ দেওয়া এবং বাতিল করার বিষয় অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করা দরকার।’ নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশব্যাপী হাই-টেক পার্ক তৈরি করা হয়েছিল, সে অনুযায়ী প্রত্যাশিত ফল আমরা পাইনি। না পাওয়ার ক্ষেত্রে কতোটুকু রাজনৈতিক কারণ ছিল, কি পরিমাণ দুর্নীতি ছিল বা আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কোনো ঘাটতি ছিল কি না, সে বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করা গেলে সামনের দিকে কাজ করা সহজ হবে।’ এ ক্ষেত্রে বাইরের দেশগুলো কীভাবে কাজ করছে এবং আমাদের সক্ষমতার মধ্যে কীভাবে আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আরও স্টাডি করার প্রয়োজন।’

এদিকে, সভায় হাই-টেক পার্কের ডরমিটরিগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ আরও কয়েকজনের নামে করার প্রস্তাব ওঠে। কিন্তু উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাতে সায় দেননি।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো তাড়াহুড়া করার দরকার নেই। আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি এমনভাবে ধারণ করা হবে, যাতে করে সেগুলো সারা জীবন থাকে।’