ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ,আগুন সরকারি অফিসে এখনও ফ্যাসিবাদীদের চাটুকার বসে আছে: সারজিস আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাশ দাফনে বাধা; ফের সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগ ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় পুলিশের ভূমিকা আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে : প্রধান বিচারপতি রায় ছিড়ে ফেলার ঘটনায় নিজেকে বাঁচাতে উল্টো ম্যাজিস্ট্রেটকে পুলিশে সোপর্দের হুমকি জজের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেবে: তারেক রহমান ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, ব্যর্থ হলে ভেঙে পড়ে: প্রধান বিচারপতি মৌসুমের সেরা ফুটবলারের তালিকায় মেসি চীনের সঙ্গে কাজে কী ঝুঁকি- বাংলাদেশকে বোঝাবে যুক্তরাষ্ট্র
দুর্বৃত্তদের চিন্থিত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনুন

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ

কামরুল হাসান টিটু. রংপুর ব‌্যু‌রো
  • Update Time : ০৮:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯৫ Time View

ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশব্যাপি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, হামলা-ভাংচুর, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও চাঁদাবাজি ও হত্যা-গুমের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা ও মহানগর কমিটির ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা সভাপতি সুশান্ত ভৌমিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, পরিষদের রংপুর মহানগর সভাপতি সুব্রত সরকার মুকুল, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ধীমান ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নরেশ রায়, যুব ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি সুবাস দাস, যুব ঐক্য পরিষদের জেলা সহসভাপতি প্রশান্ত মহন্ত প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা সহিংসতা, মন্দির ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, যারা এই হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে তারা কোনো দলের নয়। এরা সবাই সুযোগসন্ধানি দুর্বৃত্ত, লুটেরাজ। আমরা এদেশের নাগরিক, সাধারণ মানুষ তারপরও কেন আমাদের ওপর এভাবে হামলা হচ্ছে। কেন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ হোক। সমাজের সকল ধর্ম, বর্ণ, মতের মানুষের মাঝে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রকৃত দুর্বৃত্তদের চিন্থিত করে বিচারের আওতায় আনা হোকে। এটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এখানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ না হলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক বলেন, ‘যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে এটা দেখে আমরা আতঙ্কিত ও শঙ্কায় আছি। আমরা আর কাঁদতে চাই না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরাও এ দেশের নাগরিক। আমাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে। কেন আমাদের বাড়ি মন্দির পাহারা দিতে হবে? আমরা চাই দ্রুত হামলাকারী দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা চাই একটি নিরাপদ বাংলাদেশ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’

সমাবেশ শুরুর আগে রংপুর টাউন হল থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিন হন।

Please Share This Post in Your Social Media

দুর্বৃত্তদের চিন্থিত করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনুন

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ

কামরুল হাসান টিটু. রংপুর ব‌্যু‌রো
Update Time : ০৮:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশব্যাপি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, হামলা-ভাংচুর, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও চাঁদাবাজি ও হত্যা-গুমের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা ও মহানগর কমিটির ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা সভাপতি সুশান্ত ভৌমিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, পরিষদের রংপুর মহানগর সভাপতি সুব্রত সরকার মুকুল, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ধীমান ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নরেশ রায়, যুব ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি সুবাস দাস, যুব ঐক্য পরিষদের জেলা সহসভাপতি প্রশান্ত মহন্ত প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা সহিংসতা, মন্দির ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, যারা এই হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে তারা কোনো দলের নয়। এরা সবাই সুযোগসন্ধানি দুর্বৃত্ত, লুটেরাজ। আমরা এদেশের নাগরিক, সাধারণ মানুষ তারপরও কেন আমাদের ওপর এভাবে হামলা হচ্ছে। কেন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ হোক। সমাজের সকল ধর্ম, বর্ণ, মতের মানুষের মাঝে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে প্রকৃত দুর্বৃত্তদের চিন্থিত করে বিচারের আওতায় আনা হোকে। এটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এখানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ না হলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক বলেন, ‘যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে এটা দেখে আমরা আতঙ্কিত ও শঙ্কায় আছি। আমরা আর কাঁদতে চাই না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরাও এ দেশের নাগরিক। আমাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে। কেন আমাদের বাড়ি মন্দির পাহারা দিতে হবে? আমরা চাই দ্রুত হামলাকারী দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা চাই একটি নিরাপদ বাংলাদেশ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’

সমাবেশ শুরুর আগে রংপুর টাউন হল থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিন হন।