ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নোয়াখালীতে চলন্ত ট্রেনে হামলা যারা ভোট দিয়েছে, যারা ভোট দেননি, তাদের সবার অভিভাবক আপনারা সেতুর নাট খোলার সময় দুই চোর আটক, পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গাইবান্ধায় বিএনপির সমাবেশ সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার পুনর্বহালের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ সিলেটে ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর এসআই পরিচয়ে প্রতারণা ও ধর্ষণ, ধর্ষণকারী গ্রেফতার রমেকের ডরমেটরি থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী সোসাইটির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সিডি এলবাম এর প্রকাশনা অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ নারী

স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • / ১৭ Time View

বন্যার পর সিলেটে নিত্যপণ্যের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজির দাম। শুধু সবজি না, সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের দামও সাধ্যের বাহিরে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সিলেটবাসী। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। দাম কমার কোনো সুখবর নেই। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এর জন্য অবশ্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।শুক্রবার সিলেট মগানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে সুবহানীঘাট সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। যা এক সাপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া টমেটো ৯০ টাকা কেজি, ঢেরস ২৫ টাকা, পটল কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এদিকে, চলতি সপ্তাহেও কমেনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। আর তেলাপিয়া মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা এবং ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ব্রয়লার, সোনালি, পাকিস্তানি এবং লাল মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে বন্যার কারণে অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েগেছে। যার কারণে বর্তমানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম। তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি। সামনে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রেতারা বলেন, বাজারে যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় না অর্ধেক বাজার করতে পারব। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে? কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে

Update Time : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

বন্যার পর সিলেটে নিত্যপণ্যের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজির দাম। শুধু সবজি না, সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের দামও সাধ্যের বাহিরে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সিলেটবাসী। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। দাম কমার কোনো সুখবর নেই। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এর জন্য অবশ্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।শুক্রবার সিলেট মগানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে সুবহানীঘাট সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। যা এক সাপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া টমেটো ৯০ টাকা কেজি, ঢেরস ২৫ টাকা, পটল কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এদিকে, চলতি সপ্তাহেও কমেনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। আর তেলাপিয়া মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা এবং ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ব্রয়লার, সোনালি, পাকিস্তানি এবং লাল মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে বন্যার কারণে অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েগেছে। যার কারণে বর্তমানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম। তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি। সামনে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রেতারা বলেন, বাজারে যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় না অর্ধেক বাজার করতে পারব। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে? কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।