ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ভারত-পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে : ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারিবারিক অনুষ্ঠানে গেলেন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ৫২ মিলিয়ন মানুষ বাংলাদেশে বন্যার ঝুঁকির মধ্যে থাকবে : পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না : মির্জা ফখরুল লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর, যুবক আটক শাহবাগ ছেড়ে এবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আন্দোলনকারীরা

লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / ১৬৮ Time View

লালমনিরহাটে মৃতদেহ উদ্ধারের ৫ মাস পর আদালতে বিমাতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলেন ছেলে। বিমাতা মাধবী রানী সেনসহ ৮জনকে আসামী করা হয়েছে।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর সেনটারী গ্রাম থেকে পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্র নাথ সেনের মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন।

সোমবার (১৩ মে) লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসাইন মামলাটি রেকর্ড করে ৫দিনের মধ্যে আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে আদালত থেকে মামলার কপি পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) রাশেদুল ইসলাম।

মামলার বাদী নিহতের সন্তান প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন থানায় গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। থানায় আইনী সহযোগিতা না পাওয়ায় ৫মাস পর আদালতে আশ্রয় নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পিতাকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিমাতা ষড়যন্ত্র করে বাবার কাছ থেকে বসতভিটাসহ প্রায় ৭বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী মারা যান ১৯৯৮ সালে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাধবী রানী সেনকে। ২০১২ সালে নিহতের প্রথম স্ত্রীর সন্তান প্রশান্ত ও প্রদীপকে বাড়ি থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিমাতার কারণে দুই ভাই কোনদিনই বাড়িতে ফিরতে পারেননি। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন হরেন্দ্র নাথ সেন। সতীনের ছেলেদের বঞ্চিত করে মাধবী রানী সেন তার স্বামীর কাছ থেকে সব জমি লিখে নেন। মাধবী রানীর পুত্র সন্তান নেই। দুই কন্যা সন্তানের বিয়ে দিয়েছেন। গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে মাধবী রানী অন্য আসামীদের সহযোগিতা নিয়ে হরেন্দ্র নাথ সেনকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি ঘরের মেঝের উপর রেখেছিলেন। এ সময় সকল আসামীরা বাড়ির ভেতর ছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজায় বন্ধ রাখায় গ্রামের লোকজন বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারেননি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী জিডি করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ভিসারা রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এ কারণে এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত আসামীতের গ্রেফতার করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

লালমনিরহাটে মৃতদেহ উদ্ধারের ৫ মাস পর আদালতে বিমাতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলেন ছেলে। বিমাতা মাধবী রানী সেনসহ ৮জনকে আসামী করা হয়েছে।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে পুলিশ লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর সেনটারী গ্রাম থেকে পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্র নাথ সেনের মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন।

সোমবার (১৩ মে) লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসাইন মামলাটি রেকর্ড করে ৫দিনের মধ্যে আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে আদালত থেকে মামলার কপি পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) রাশেদুল ইসলাম।

মামলার বাদী নিহতের সন্তান প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন থানায় গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। থানায় আইনী সহযোগিতা না পাওয়ায় ৫মাস পর আদালতে আশ্রয় নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পিতাকে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিমাতা ষড়যন্ত্র করে বাবার কাছ থেকে বসতভিটাসহ প্রায় ৭বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী মারা যান ১৯৯৮ সালে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাধবী রানী সেনকে। ২০১২ সালে নিহতের প্রথম স্ত্রীর সন্তান প্রশান্ত ও প্রদীপকে বাড়ি থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। বিমাতার কারণে দুই ভাই কোনদিনই বাড়িতে ফিরতে পারেননি। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন হরেন্দ্র নাথ সেন। সতীনের ছেলেদের বঞ্চিত করে মাধবী রানী সেন তার স্বামীর কাছ থেকে সব জমি লিখে নেন। মাধবী রানীর পুত্র সন্তান নেই। দুই কন্যা সন্তানের বিয়ে দিয়েছেন। গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে মাধবী রানী অন্য আসামীদের সহযোগিতা নিয়ে হরেন্দ্র নাথ সেনকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি ঘরের মেঝের উপর রেখেছিলেন। এ সময় সকল আসামীরা বাড়ির ভেতর ছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজায় বন্ধ রাখায় গ্রামের লোকজন বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারেননি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী জিডি করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ভিসারা রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এ কারণে এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত আসামীতের গ্রেফতার করা হবে।