ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ১৫ বছর পর গ্রেফতার

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০৫:১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৩১৮ Time View

গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় গত ২৭ তারিখ অভিযান চালিয়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ২০০৯ সালের ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ এনায়েত করিম রাড়ি (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

র‍্যাবের তথ্য মতে, গ্রেফতারকৃত এনায়েত এর বোন ফাতেমা আক্তার ও মামলার ভিকটিম পরষ্পর বান্ধবী ছিল। বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়া আসা এবং পারিবারিক ঘনিষ্টতার কারণে গ্রেফতারকৃত এনায়েতের সাথেও ভিকটিমের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃত এনায়েত অন্যত্র বিয়ে করলে ভিকটিম সম্মান এবং সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার জানাজানির এক পর্যায়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় ২২/১২/২০০৯ তারিখে এনায়েতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২২/০২/২০১০ তারিখে গ্রেফতারকৃত এনায়েতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বরিশাল কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

গ্রেফতারকৃত এনায়েত তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই বরিশাল নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে এসে আত্মগোপন করে।

Please Share This Post in Your Social Media

ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ১৫ বছর পর গ্রেফতার

শরিফুল হক পাভেল
Update Time : ০৫:১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় গত ২৭ তারিখ অভিযান চালিয়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ২০০৯ সালের ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ এনায়েত করিম রাড়ি (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

র‍্যাবের তথ্য মতে, গ্রেফতারকৃত এনায়েত এর বোন ফাতেমা আক্তার ও মামলার ভিকটিম পরষ্পর বান্ধবী ছিল। বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়া আসা এবং পারিবারিক ঘনিষ্টতার কারণে গ্রেফতারকৃত এনায়েতের সাথেও ভিকটিমের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃত এনায়েত অন্যত্র বিয়ে করলে ভিকটিম সম্মান এবং সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার জানাজানির এক পর্যায়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় ২২/১২/২০০৯ তারিখে এনায়েতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২২/০২/২০১০ তারিখে গ্রেফতারকৃত এনায়েতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বরিশাল কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

গ্রেফতারকৃত এনায়েত তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই বরিশাল নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে এসে আত্মগোপন করে।