কিশোরগঞ্জে পুনরায় তফসিল ঘোষণার বিপক্ষে মানববন্ধন

- Update Time : ১০:৪২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
- / ২৩২ Time View
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত পূণঃ তফসিল ঘোষনা ও ভূয়া অভিভাবককে ভোটার করার প্রতিবাদে এবং তফসিল বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় রংপুর-নীলফামারী সড়কের পাড়েরহাট বাজারে মানববন্ধন করে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিতর্কিত পূর্ণ তফসিল বাতিলের দাবীতে দুই শতাধিক নারী পুরুষ ,দাতা সদস্য,অভিভাবক সদস্য এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসময় সড়কের দুই পার্শ্বে শত শত মানুষ মানববন্ধনের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মানিক মিয়া। তিনি বলেন, সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হলে একটি জবাবদিহিতা মূলক কমিটি আসবে আমি এটাই বিশ্বাস করি। প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন তার মনগড়া সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তা হচ্ছে না। জবাবদিহিতা না থাকায় এভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তার পাতানো নির্বাচনে পূনরায় ভূয়া অভিভাবক ও দাতা সদস্যকে সভাপতি নির্বাচিত করার পায়তাঁরায় মেতে উঠেছে প্রধান শিক্ষক।
অপর এক অভিভাবক সদস্য ও ২ নং অভিযোগকারী দীনেশ চন্দ্র রায় বলেন, প্রধান শিক্ষকের অপকর্মের বিরুদ্ধে গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিলে তিনি আমলে নেন এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্কে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ১২ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা তার একক সিদ্ধান্তে অভিযোগকারীর উপস্থিতি ছাড়াই তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট রিপোর্ট পেশ করেন। যার ফলে গত ১৪ মার্চ পূণঃ তফসিল ঘোষণা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রহিম মিয়া। যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী।
কামারপুকুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ও দাতা সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, কোন ভূয়া অভিভাবককে দিয়ে প্রধান শিক্ষক পাতানো নির্বাচন করলে তা প্রতিহত করা হবে। পুনঃ তফসিল বাতিল করে নতুন করে আবার ভোটার তালিকা সংশোধন করে অবাধ ও সুষ্ঠ্যু নির্বাচন দাবী জানাচ্ছি। তিনি উপস্থিত সংবাদক কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখেছেন লিজা আকতার নামীয় একজন শিক্ষার্থীর ভূয়া অভিভাবক বানিয়ে নাজমুল ইসলাম কে সভাপতি নির্বাচিত করেন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেন।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থে এই পাতানো নির্বাচন স্থগিত করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। অন্যথায় ঐতিহ্যবাহী সিঙ্গেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ মুখ থুবরে পড়বে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গনেশ চন্দ্র রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমলা কান্ত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত অশ্বনী কুমার রায়ের ছেলে ও অভিভাবক ধনঞ্জয় কুমার, অভিভাবক তরনী কান্ত রায়, দুলালী বেগম, সিরাজুল ইসলাম মিলু, এনামুল হক, অনিক চন্দ্র রায়, আশিকুর রহমান মিন্টু, লক্ষণ চন্দ্র রায় প্রমূখ।।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিপত্র অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোন অভিভাবক নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এতে কোন সমস্যা নাই। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ বলেন, তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় আমাকে তদন্ত করতে বলেন। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছি। তবে অভিযোগকারীকে ফোন করেও তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
উপজেলা যুব উন্নয়ন ও প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রহীম মিয়া বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজা বলেন, অভিভাবকের অভিযোগ মোতাবেক প্রথম তফসিল স্থগিত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাছাড়া এটা সম্পূর্ণ শিক্ষা বোর্ডের বিষয়।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়