অভিযোগ দিয়েও পাচ্ছেনা প্রতিকার
যুবতীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে কুপ্রস্তাব

- Update Time : ১২:২২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
- / ৮৪১ Time View
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে যুবতীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রিফাত(১৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রিফাত উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামের খন্দকার রিপনের ছেলে।
২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ওই যুবতীর বাড়ির গোসলখানা থেকে ভিডিও ধারণ করে রিফাত। এ বিষয়ে যুবতীর পিতা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবতীর পিতা।
যুবতীর পিতা মো. আলেক মিয়া বলেন, গোপনে আমার মেয়ের ভিডিও ধারণ করে প্রতিবেশী রিফাত। তারপর ওই ভিডিও তার বন্ধুর নিকট পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে। রিফাতের ওই বন্ধু তার মেয়ের ইমু নাম্বারে পাঠিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এলাকাবাসীসহ তার মেয়ের স্বামী সৌদি আরব থেকে দেখলে তার মেয়েকে তালাক দেওয়ার ঘোষনা দেন। এঘটনায় তার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, ঘটনারপর দিন থানায় অভিযোগ দিলে দেলদুয়ার থানার এসআই মো. ইউসুফ আলী তদন্তে আসে। স্থানীয়ভাবে সিফাতের নাম উঠে আসে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে বলে সিফাত এসএসসি পরীক্ষার্থী তাই আপাদত কিছু করা যাবে না। পরীক্ষা শেষে ব্যবস্থা নেবো। এছাড়াও ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে এসআই ইউসুফ জানান।
এদিকে, অভিযোগ দেওয়ায় রিফাতের বাবা, চাচা খন্দকার মনোয়ার ও স্থানীয় সাবেক মহিলা মেম্বার আঞ্জুমানারা মিলে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তারা বলে অভিযোগ তুলে না নিলে তাদের মেরে লাশ গুম করে ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে চোখে-চোখে রাখতে হয়,কখন যেন আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। অপরদিকে আসামীদের ভয়ে থাকতে হয় কখন যেন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে।
ভুক্তভোগী ওই যুবতীর চাচা আহাম্মদ আলী বলেন, রিফাতের বাবা খন্দকার রিপন ভুল স্বীকার করেছে। সেইসাথে অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সমাজে নিরীহ হওয়ায় আমরা কি বিচার পাবো না।
ভুক্তভুগী ওই যুবতী বলেন, তিনি দুর্নামের ভয়ে এসএসসি পাশ করেও কোন কলেজে ভর্তি হননি। লেখাপড়া বাদ দিয়ে ঘরে বসে থেকেও আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটলো। এ ঘটনার সঠিক বিচার না পেলে এ জীবন তিনি রাখবেন না।
অভিযুক্ত রিফাতের বাবা খন্দকার রিপন জানান, ঘটনাটি সামাজিকভাবে বসে মীমাংসার চেষ্টা করছি।
এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনাটি অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) মো. ইউসুফ আলী মুঠোফোনে জানান তিনি কোন বক্তব্য দিতে পারবে না।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে সনাক্ত করতে না পরায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়