ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে থাই জুয়াড়িকে আটকের ঘটনার মামলায় পুরুষ শূন্য গ্রাম

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৫:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৪ Time View

থাই জুয়াড়িকে আটকের ঘটনায় নীলফামারী কিশোরগঞ্জের ছলিমের বাজার নামক একটি গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। রবিউল ইসলাম নামে এক শিক্ষক পুলিশের হাতকড়াসহ পালিয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাসহ ১১৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন।

এলাকাবাসি জানায়, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধার পর তাজিমুল নামে এক থাই জুয়ড়িকে আটক করে নিয়ে যায় নীলফামারী ডিবি পুলিশ। এসময় ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে ও ছলিমের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। পরে গভীর রাতে থানা ও ডিবি পুলিশ শিক্ষক রবিউলকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন।

এসময় তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করায় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসি জড়ো হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় হাতকড়াসহ ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। এতে ২ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন আহত হন।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় ছলিমের বাজার গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সুনশান নিরবতা কোন বাড়িতে আলো নেই। একটি বাড়ীতে একজন মহিলার কন্ঠ শোনা গেলেও আতঙ্কে আছেন তিনি। তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি শুধু বলেন আমার স্বামী বাইরে গেছে বলে কথা শেষ করেন। বাজার পাহাড়াদার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মোকছেদ আলী জানায় পুলিশ এসে আমার মোবাইল ফোনটা নিয়ে নেয়। এর পর রবিউল মাষ্টারকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের ভয়ে এলাকা এখন নারী পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হাতকড়া নিয়ে আসামী পালানোর বিষয়ে ডিবি পুলিশ বলতে পারবে বলে তিনি জানান। নীলফামারী ডিবি পুলিশের ওসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে থাই জুয়াড়িকে আটকের ঘটনার মামলায় পুরুষ শূন্য গ্রাম

Update Time : ০৫:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

থাই জুয়াড়িকে আটকের ঘটনায় নীলফামারী কিশোরগঞ্জের ছলিমের বাজার নামক একটি গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। রবিউল ইসলাম নামে এক শিক্ষক পুলিশের হাতকড়াসহ পালিয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাসহ ১১৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন।

এলাকাবাসি জানায়, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধার পর তাজিমুল নামে এক থাই জুয়ড়িকে আটক করে নিয়ে যায় নীলফামারী ডিবি পুলিশ। এসময় ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে ও ছলিমের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। পরে গভীর রাতে থানা ও ডিবি পুলিশ শিক্ষক রবিউলকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন।

এসময় তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করায় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসি জড়ো হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় হাতকড়াসহ ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। এতে ২ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন আহত হন।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় ছলিমের বাজার গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সুনশান নিরবতা কোন বাড়িতে আলো নেই। একটি বাড়ীতে একজন মহিলার কন্ঠ শোনা গেলেও আতঙ্কে আছেন তিনি। তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি শুধু বলেন আমার স্বামী বাইরে গেছে বলে কথা শেষ করেন। বাজার পাহাড়াদার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মোকছেদ আলী জানায় পুলিশ এসে আমার মোবাইল ফোনটা নিয়ে নেয়। এর পর রবিউল মাষ্টারকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের ভয়ে এলাকা এখন নারী পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হাতকড়া নিয়ে আসামী পালানোর বিষয়ে ডিবি পুলিশ বলতে পারবে বলে তিনি জানান। নীলফামারী ডিবি পুলিশের ওসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।