ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ৬ মাসের কারাদণ্ড

নওরোজ ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : ১১:২৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩০ Time View

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরির ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চেক ডিজঅনারের মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালে ই-কমার্স খাতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে আয়েশা মার্টের নামও সামনে আসে। এ কোম্পানির বিরুদ্ধেও অনেক ক্রেতা পণ্য না পাওয়ার এবং টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগ আনেন।

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারসহ কোম্পানি সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নয়টি চেক প্রতারণা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৫ জুন এসব মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলিশা মার্ট লিমিটেড থেকে ডিসকাউন্টে কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। অর্ডার বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর ৪৫ দিন পার হলেও তিনি মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে ওই ক্রেতাকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট।

পরে বাদী ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ‘ডিজঅনার’ দেখানো হয়।

এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে। পরে ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৭ এর গাড়িচালক। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি বাদী হয়ে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।

Please Share This Post in Your Social Media

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ৬ মাসের কারাদণ্ড

Update Time : ১১:২৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরির ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চেক ডিজঅনারের মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালে ই-কমার্স খাতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে আয়েশা মার্টের নামও সামনে আসে। এ কোম্পানির বিরুদ্ধেও অনেক ক্রেতা পণ্য না পাওয়ার এবং টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগ আনেন।

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারসহ কোম্পানি সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নয়টি চেক প্রতারণা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৫ জুন এসব মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলিশা মার্ট লিমিটেড থেকে ডিসকাউন্টে কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। অর্ডার বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর ৪৫ দিন পার হলেও তিনি মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে ওই ক্রেতাকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট।

পরে বাদী ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ‘ডিজঅনার’ দেখানো হয়।

এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে। পরে ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৭ এর গাড়িচালক। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি বাদী হয়ে আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।