ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

সুন্নতে খৎনা করাতে এসে মৃত্যুর মুখে শিশু আয়ান

ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : ০৬:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৭ Time View

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডার মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে এসে মৃত্যু শয্যায় ৫ বছরের শিশু আয়ান। উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে।

ছবি: সংগৃহীত

স্বজনদের অভিযোগ, এনেসথেসিয়া প্রয়োগের ভুলের কারণে শিশু আয়ান এখন মৃত্যুর মুখোমুখি।

জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা মাদানী অ্যাভিনিউয়ের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। সেখানে তাকে অস্ত্রোপচার পূর্ববর্তী এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়। চারদিন পার হয়ে গেলেও শিশু আয়ানের জ্ঞান এখনো ফেরেনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটিকে এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ডা. সাব্বির আহমেদ। আর সার্জারি করেছেন ডা. মেহজাবীন।

শিশুটির বাবা শামিম আহমেদ বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা সাতারকুল এলাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে নিয়ে যাই। এর একদিন আগেও ছেলের অ্যাজমা থাকায় খতনা করাতে কোনো সমস্যা হবে কি না সেজন্য তিন হাজার টাকার টেস্টও করিয়েছি। খৎনা করাতে পুরোপুরি অজ্ঞান না করার কথা থাকলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছিল আপনাদের ছেলে তো বেশি দুষ্টুমি করে তাকে পুরো অজ্ঞান করলেই ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে যাওয়ার পর বাচ্চাটিকে প্রথমে অজ্ঞান করানো হয়। এরপর সেখানে তাকে দিয়ে ওই অবস্থায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টার মতো ক্লাস নেওয়া হয়। এর মধ্যে আয়ানের পেট ফুলে যায়। শেষের দিকে চিকিৎসকরা বাচ্চার পালস পাচ্ছিল না, তখন চিকিৎসকরা আয়ানের বুকে প্রেসার দিচ্ছিল। তখনই আমরা বুঝতে পারি ভুল কিছু একটা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরপর তারা নিজেদের গাড়িতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

আয়ানের বাবা আরও বলেন, ‘আজ চারদিন হলো তাকে পিআইসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। এ কয়দিন যতটুকু আশা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আজ সকালে বলছে তার শরীরের কিছু অর্গান কাজ করছে না। এতে বোঝা যাচ্ছে আমাদের বাচ্চাকে হয়তো বাঁচাতে পারছে না।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন। একটা সাধারণ অস্ত্রোপচারে তার সন্তানকে মৃত্যু শয্যায় যেতে হলো। তিনি বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে ফিরে পেতে চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, ‘শিশুটি মারা যায়নি। এখনো হাসপাতালের পিআইসিইউতে আছে। তাকে চিকিৎসা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

সুন্নতে খৎনা করাতে এসে মৃত্যুর মুখে শিশু আয়ান

Update Time : ০৬:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর বাড্ডার মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে এসে মৃত্যু শয্যায় ৫ বছরের শিশু আয়ান। উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে।

ছবি: সংগৃহীত

স্বজনদের অভিযোগ, এনেসথেসিয়া প্রয়োগের ভুলের কারণে শিশু আয়ান এখন মৃত্যুর মুখোমুখি।

জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা মাদানী অ্যাভিনিউয়ের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। সেখানে তাকে অস্ত্রোপচার পূর্ববর্তী এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়। চারদিন পার হয়ে গেলেও শিশু আয়ানের জ্ঞান এখনো ফেরেনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটিকে এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ডা. সাব্বির আহমেদ। আর সার্জারি করেছেন ডা. মেহজাবীন।

শিশুটির বাবা শামিম আহমেদ বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা সাতারকুল এলাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে নিয়ে যাই। এর একদিন আগেও ছেলের অ্যাজমা থাকায় খতনা করাতে কোনো সমস্যা হবে কি না সেজন্য তিন হাজার টাকার টেস্টও করিয়েছি। খৎনা করাতে পুরোপুরি অজ্ঞান না করার কথা থাকলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছিল আপনাদের ছেলে তো বেশি দুষ্টুমি করে তাকে পুরো অজ্ঞান করলেই ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে যাওয়ার পর বাচ্চাটিকে প্রথমে অজ্ঞান করানো হয়। এরপর সেখানে তাকে দিয়ে ওই অবস্থায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টার মতো ক্লাস নেওয়া হয়। এর মধ্যে আয়ানের পেট ফুলে যায়। শেষের দিকে চিকিৎসকরা বাচ্চার পালস পাচ্ছিল না, তখন চিকিৎসকরা আয়ানের বুকে প্রেসার দিচ্ছিল। তখনই আমরা বুঝতে পারি ভুল কিছু একটা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরপর তারা নিজেদের গাড়িতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

আয়ানের বাবা আরও বলেন, ‘আজ চারদিন হলো তাকে পিআইসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না। এ কয়দিন যতটুকু আশা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আজ সকালে বলছে তার শরীরের কিছু অর্গান কাজ করছে না। এতে বোঝা যাচ্ছে আমাদের বাচ্চাকে হয়তো বাঁচাতে পারছে না।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন। একটা সাধারণ অস্ত্রোপচারে তার সন্তানকে মৃত্যু শয্যায় যেতে হলো। তিনি বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে ফিরে পেতে চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, ‘শিশুটি মারা যায়নি। এখনো হাসপাতালের পিআইসিইউতে আছে। তাকে চিকিৎসা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’