ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হাসান স্বপন গ্রেপ্তার বিএনপির ১১ টি সংগঠনের বাইরে কোন সংগঠন নেই বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জাতিসংঘকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলেন ঢাবি উপাচার্য

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৭৬ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

জাতিসংঘ কে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুধু তাই নয় জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় এ জনপদের মানুষের নেতৃত্ব দেয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমিও আপনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলবো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং যে ভূখণ্ডটি সেখানে ছিল সেটি সেখানের জনগণের কাছে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘকে ধিক্কার জানাই। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল- এ দুটি রাষ্ট্র আবির্ভূত হওয়ার পরপরই আমরা দেখলাম জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দেয়নি। ইসরায়েলকে মেম্বার স্টেইট অব ইউনাইটেড ন্যাশসনস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৪ সালে এসে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমতের চাপে নন-মেম্বার অবজারভার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।জাতিসংঘ নির্যাতিত মানুষের প্রতি অনেক বড় অন্যায় করেছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না, সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, সেখানে চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানে না যুদ্ধ কী? চার হাজার শিশুকে হত্যা করার পরও এখনো সেখানে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যুদ্ধকে আরও শাণিত করতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র যেন পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে চলে যায় সেজন্য সেখানে রণতরী পাঠিয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে তারা মানবতার পক্ষে নয়, সভ্যতার পক্ষে নয়, তারা দখলদার যারা তাদের পক্ষে।এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এই একপেশে ও দখলদারিত্ব নীতির প্রতিও ধিক্কার জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতিসংঘকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলেন ঢাবি উপাচার্য

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

জাতিসংঘ কে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুধু তাই নয় জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় এ জনপদের মানুষের নেতৃত্ব দেয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমিও আপনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলবো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং যে ভূখণ্ডটি সেখানে ছিল সেটি সেখানের জনগণের কাছে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘকে ধিক্কার জানাই। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল- এ দুটি রাষ্ট্র আবির্ভূত হওয়ার পরপরই আমরা দেখলাম জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দেয়নি। ইসরায়েলকে মেম্বার স্টেইট অব ইউনাইটেড ন্যাশসনস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৪ সালে এসে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমতের চাপে নন-মেম্বার অবজারভার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।জাতিসংঘ নির্যাতিত মানুষের প্রতি অনেক বড় অন্যায় করেছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না, সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, সেখানে চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানে না যুদ্ধ কী? চার হাজার শিশুকে হত্যা করার পরও এখনো সেখানে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যুদ্ধকে আরও শাণিত করতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র যেন পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে চলে যায় সেজন্য সেখানে রণতরী পাঠিয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে তারা মানবতার পক্ষে নয়, সভ্যতার পক্ষে নয়, তারা দখলদার যারা তাদের পক্ষে।এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এই একপেশে ও দখলদারিত্ব নীতির প্রতিও ধিক্কার জানান তিনি।