ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:৫৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৯ Time View

বগুড়ায় সোনিয়া চৌহান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে তার ছেলে গোপাল চৌহানকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত গোপাল চৌহান বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মৃত জগদীশ চৌহানের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ছোট থাকতেই গোপালের বাবা মারা যান। তার ধারণা ছিল, মা সোনিয়া বাবাকে হত্যা করেছেন। এটা নিয়ে গোপালের ভেতরে ক্ষোভ ছিল।

সেই ক্ষোভ থেকে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপাল তার মা সোনিয়া চৌহানকে নিজ বাড়িতে গলায় মোটা সুতা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে হাজির হন। তার কথামতো পুলিশ সোনিয়া চৌহানের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ থানা হেফাজতে নেয় গোপালকে। পরে তার বড় ভাই মিঠুন চৌহান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরের দিনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গোপাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি ) বিনয় কুমার ঘোষ রজত বলেন, এ ঘটনা সমাজের নৈতিকতার অবক্ষয়। রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বগুড়ায় মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৬:৫৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

বগুড়ায় সোনিয়া চৌহান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে তার ছেলে গোপাল চৌহানকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত গোপাল চৌহান বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মৃত জগদীশ চৌহানের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ছোট থাকতেই গোপালের বাবা মারা যান। তার ধারণা ছিল, মা সোনিয়া বাবাকে হত্যা করেছেন। এটা নিয়ে গোপালের ভেতরে ক্ষোভ ছিল।

সেই ক্ষোভ থেকে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপাল তার মা সোনিয়া চৌহানকে নিজ বাড়িতে গলায় মোটা সুতা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে হাজির হন। তার কথামতো পুলিশ সোনিয়া চৌহানের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ থানা হেফাজতে নেয় গোপালকে। পরে তার বড় ভাই মিঠুন চৌহান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরের দিনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গোপাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি ) বিনয় কুমার ঘোষ রজত বলেন, এ ঘটনা সমাজের নৈতিকতার অবক্ষয়। রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।