ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিরাজ বাবা সেজে চার লক্ষ টাকা দাবি মরদেহ মিললো ডোবায় , গ্রেফতার ২

রাকিবুল হাসান রিয়ান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে
  • Update Time : ০৬:২৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৪২ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মুক্তিপণ না পেয়ে ফাতেহা নামের সাত বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাই ও আপন ফুফাতো ভাই। ঘটনার গতকাল সোমবার রাতে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম দৈনিক নওরোজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাতেহা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামের বাছেদ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণী পরতো।

এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ঘাতক নাজিম ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে ঘাতক আলাউদ্দিনকে। সম্পর্কে তারা ফাতেহার ফুফাতো ও চাচাতো ভাই।

পরিবারের সূত্রে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ফাতেহা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবার।

একদিন পর ১ অক্টোবর অপহরণকারীরা ফাতেহার করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়। গত সোমবার সকালে ‘কবিরাজ বাবা’ নামের একটি ইমু আইডি থেকে মেসেজে মাধ্যমে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

এ অবস্থায় বাছেদ মিয়া পুরো বিষয়টি বাছারামপুরের ওসি নূরে আলমকে অবগত করেন। পরে পুলিশ অপহরণকারীর ফোন নম্বর ধরে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফোন মেসেজের রেশ ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত কবিরাজ বাবা নামের ইমু আইডির চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার শিশু ফাতেহা কে গলা টিপে হত্যা করেছে বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে অপহরণকারীদের তথ্যের আলোকে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ডোবার পানিতে থাকা কচুরি পানার নীচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুমা আক্তার গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কবিরাজ বাবা সেজে চার লক্ষ টাকা দাবি মরদেহ মিললো ডোবায় , গ্রেফতার ২

Update Time : ০৬:২৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মুক্তিপণ না পেয়ে ফাতেহা নামের সাত বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাই ও আপন ফুফাতো ভাই। ঘটনার গতকাল সোমবার রাতে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম দৈনিক নওরোজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাতেহা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামের বাছেদ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণী পরতো।

এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ঘাতক নাজিম ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে ঘাতক আলাউদ্দিনকে। সম্পর্কে তারা ফাতেহার ফুফাতো ও চাচাতো ভাই।

পরিবারের সূত্রে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ফাতেহা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবার।

একদিন পর ১ অক্টোবর অপহরণকারীরা ফাতেহার করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়। গত সোমবার সকালে ‘কবিরাজ বাবা’ নামের একটি ইমু আইডি থেকে মেসেজে মাধ্যমে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

এ অবস্থায় বাছেদ মিয়া পুরো বিষয়টি বাছারামপুরের ওসি নূরে আলমকে অবগত করেন। পরে পুলিশ অপহরণকারীর ফোন নম্বর ধরে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফোন মেসেজের রেশ ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত কবিরাজ বাবা নামের ইমু আইডির চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার শিশু ফাতেহা কে গলা টিপে হত্যা করেছে বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে অপহরণকারীদের তথ্যের আলোকে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ডোবার পানিতে থাকা কচুরি পানার নীচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুমা আক্তার গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।