ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কারামুক্ত শহিদুল আলম, গেলেন তুরস্কে

চট্টগ্রামে প্লট জালিয়াতি মামলায় ৪ জনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৫:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২১৯ Time View

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ বানিয়ে চট্টগ্রাম হালিশহর হাউজিং সোসাইটির সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীসহ চার আসামিকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনশী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। একই রায়ে চারজনের প্রত্যেককে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন প্লট গ্রহীতা চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার দুবাই বিল্ডিং এলাকার মনির আহাম্মদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, সদরঘাট এলাকার সাখাওয়াত উল্লাহর ছেলে নাসিম ইকবাল হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চাকুরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার মাটিভাংগা গ্রামের মো. কাঞ্চন আলী হাওলাদার এবং গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এলএমএসএস কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার ভিমরুল গ্রামের মো. আবুল কাশেম।

মামলায় অভিযোগপত্রের এক নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

তিনি বলেন, ২০০২ সালের মামলা। তখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিলে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আদেশ জালিয়াতি করে হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগের ওই মামলায় আদালত অভিযোগপত্রের ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনকে বিভিন্ন ধারায় ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে আসামি খলিলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল হোসেন ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে তিনটি প্লটে ১০ দশমিক ৯৫ কাঠা সরকারি জায়গা ভুয়া লিজ বরাদ্দ দেখিয়ে রেজিস্ট্রিমূলে আত্মসাৎ করেন।

এ জমি আত্মসাতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ক্যাশিয়ার ও একজন এলএমএসএস সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে তিন প্লটগ্রহীতা ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে আসামি করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

প্রায় ১০ বছর তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রামে প্লট জালিয়াতি মামলায় ৪ জনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৫:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ বানিয়ে চট্টগ্রাম হালিশহর হাউজিং সোসাইটির সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীসহ চার আসামিকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনশী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। একই রায়ে চারজনের প্রত্যেককে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন প্লট গ্রহীতা চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার দুবাই বিল্ডিং এলাকার মনির আহাম্মদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, সদরঘাট এলাকার সাখাওয়াত উল্লাহর ছেলে নাসিম ইকবাল হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চাকুরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার মাটিভাংগা গ্রামের মো. কাঞ্চন আলী হাওলাদার এবং গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এলএমএসএস কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার ভিমরুল গ্রামের মো. আবুল কাশেম।

মামলায় অভিযোগপত্রের এক নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

তিনি বলেন, ২০০২ সালের মামলা। তখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিলে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আদেশ জালিয়াতি করে হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগের ওই মামলায় আদালত অভিযোগপত্রের ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনকে বিভিন্ন ধারায় ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে আসামি খলিলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল হোসেন ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে তিনটি প্লটে ১০ দশমিক ৯৫ কাঠা সরকারি জায়গা ভুয়া লিজ বরাদ্দ দেখিয়ে রেজিস্ট্রিমূলে আত্মসাৎ করেন।

এ জমি আত্মসাতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ক্যাশিয়ার ও একজন এলএমএসএস সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে তিন প্লটগ্রহীতা ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে আসামি করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

প্রায় ১০ বছর তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।