নিখোঁজের ১৭ দিন পর তিস্তায় মিললো সেই শিক্ষার্থীর মরদেহ

- Update Time : ০৯:১০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১২৩ Time View
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে নাইস আহম্মেদের (১৯) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ১৭ দিন পর ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভেসে উঠে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে তিস্তা নদী তীরবর্তী উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের সাপমারি এলাকা থেকে একটু দূরে শিক্ষার্থীর মরদেহটির সন্ধান পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নাইস আহম্মেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গনণেশের বাজার এলাকার মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথান এলাকায় নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে থেকে নাইস আহম্মেদ পড়াশোনা করছিল। এবার সে আনোয়ারমারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন।
এর আগে নিখোঁজের ৩২ ঘন্টা পর আরেক শিক্ষার্থী মুন্না আহম্মেদের (১৮) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে তিস্তায় ভেসে উঠে মুন্নার মরদেহ। এনিয়ে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হলো।
এদিকে নাইস আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধার হওয়া প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী মোবাস্বের জানান, তিস্তা নদীর তীরে মরদেহটি ভেসে আসতে দেখে তিনি স্বানীয়দের খবর দেন। পরে কয়েকজনের সহযোগিতায় মরদেহটি নদী থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়। নিখোঁজের পরিবার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি সনাক্ত করেন।
এবিষয় গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, আমরা একটি লাশ ভেসে উঠার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ভেসে উঠা লাশটিকে সনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদী এলাকায় গোসল করতে আসে নাইস ও মুন্নাসহ ছয় বন্ধু। তারা নদীতে গোসলে নামলে ছয় বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে ধরে। এক বন্ধু কোনো রকমে সাতঁরে উপরে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতে টানে তলিয়ে যেতে ধরে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে।
তবে অন্য দুইজন স্রোতের তোড়ে সেখানেই নিখোঁজ হন। তারা দুজনেই এসএইচসি পরীক্ষার্থী। ওই ঘটনার ৩২ ঘন্টা পর মুন্না আহম্মেদের এবং ১৭ দিন পর নাইস আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।