ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেটে প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে প্রয়োজনে আবার জীবন দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করব : মামুনুল হক সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দের সাথে প্রধান বিচারপতির মতবিনিময় সভা জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে যে সংস্কার হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি : ছাত্রশিবির সভাপতি ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু বনানীতে সিসা বারে যুবককে কুপিয়ে হত্যা রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধে ধস, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক আনিসুল হক ও গোলাম সরোয়ারের বেপরোয়া লুটপাট-২ আনিসুল হক ও গোলাম সরোয়ারের বেপরোয়া লুটপাট-১ রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটে র‍্যাব-৩ এর অভিযান

ইরানে হিজাব না পড়লে ১০ বছর কারাদণ্ড

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫৩ Time View

ইসলামিক পোষাক বিধি লঙ্ঘনকারী নারীদের শাস্তির বিধান কঠোর করে একটি বিল পাস করেছে ইরানের আইনপ্রণেতারা।

নতুন আইনে পোশাক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বুধবার ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, তিন বছর ট্রায়ালের জন্য ‘হিজাব সংস্কৃতির সমর্থন ও সতীত্ব’ বিল অনুমোদন করেছে পার্লামেন্ট।

বিলটির এখনও গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। গত বছর হিজাবের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করে ইরানি নারীরা।

হিজাব না পরার অপরাধে ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

এর পর সরকার কঠোর হাতে ওই বিক্ষোভ দমন করে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পোশাক বিধি প্রণয়নের ঘোষণা দেয়।

ইরানের আইনের অধীনে বয়ঃসন্ধিক্ষণে পৌঁছার পর সব নারী ও বালিকাকে অবশ্যই হিজাব দিয়ে তার মাথার চুল ঢেকে রাখতে হবে। পরতে হবে লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক, যাতে তাদের শরীর দেখা না যায়।

বর্তমানে যারা এই নিয়ম না মানেন, তাদের জন্য ১০ দিন থেকে দুই মাস জেলের বিধান অথবা ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে।

বুধবার ‘হিজাব অ্যান্ড চ্যাসটিটি বিল’ পার্লামেন্ট ১৫২-৩৪ ভোটে পাস করে। এতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তিকে অনুপযুক্ত পোশাকে প্রকাশ্য স্থানে দেখা গেলে তাকে ‘চতুর্থ ডিগ্রি’ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

দণ্ডবিধি অনুযায়ী, এর অর্থ হলো ৫ থেকে ১০ বছরের জেল হতে পারে এবং ১৮০ মিলিয়ন থেকে ৩৬০ মিলিয়ন রিয়াল জরিমানা করা হতে পারে।

কেউ নগ্নতায় উৎসাহ দিলে, হিজাব পরে মিডিয়াতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মজা করলে অথবা যদি কোনো গাড়িতে নারী চালক অথবা যাত্রী দেখা যায়- যারা হিজাব ও যথাযথ পোশাক পরেননি- তাহলে তারাও এই বিলের আওতায় আসবেন।

বিলটি পাঠানোর কথা রয়েছে গার্ডিয়ান কাউন্সিলে। এটি হলো ধর্মীয় নেতা এবং বিচারকদের একটি রক্ষণশীল পরিষদ।

যদি তারা মনে করেন সংবিধান এবং শরীয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তাহলে বিলে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে এ পরিষদের।

Please Share This Post in Your Social Media

ইরানে হিজাব না পড়লে ১০ বছর কারাদণ্ড

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৪:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইসলামিক পোষাক বিধি লঙ্ঘনকারী নারীদের শাস্তির বিধান কঠোর করে একটি বিল পাস করেছে ইরানের আইনপ্রণেতারা।

নতুন আইনে পোশাক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বুধবার ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, তিন বছর ট্রায়ালের জন্য ‘হিজাব সংস্কৃতির সমর্থন ও সতীত্ব’ বিল অনুমোদন করেছে পার্লামেন্ট।

বিলটির এখনও গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। গত বছর হিজাবের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করে ইরানি নারীরা।

হিজাব না পরার অপরাধে ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

এর পর সরকার কঠোর হাতে ওই বিক্ষোভ দমন করে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পোশাক বিধি প্রণয়নের ঘোষণা দেয়।

ইরানের আইনের অধীনে বয়ঃসন্ধিক্ষণে পৌঁছার পর সব নারী ও বালিকাকে অবশ্যই হিজাব দিয়ে তার মাথার চুল ঢেকে রাখতে হবে। পরতে হবে লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক, যাতে তাদের শরীর দেখা না যায়।

বর্তমানে যারা এই নিয়ম না মানেন, তাদের জন্য ১০ দিন থেকে দুই মাস জেলের বিধান অথবা ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে।

বুধবার ‘হিজাব অ্যান্ড চ্যাসটিটি বিল’ পার্লামেন্ট ১৫২-৩৪ ভোটে পাস করে। এতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তিকে অনুপযুক্ত পোশাকে প্রকাশ্য স্থানে দেখা গেলে তাকে ‘চতুর্থ ডিগ্রি’ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

দণ্ডবিধি অনুযায়ী, এর অর্থ হলো ৫ থেকে ১০ বছরের জেল হতে পারে এবং ১৮০ মিলিয়ন থেকে ৩৬০ মিলিয়ন রিয়াল জরিমানা করা হতে পারে।

কেউ নগ্নতায় উৎসাহ দিলে, হিজাব পরে মিডিয়াতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মজা করলে অথবা যদি কোনো গাড়িতে নারী চালক অথবা যাত্রী দেখা যায়- যারা হিজাব ও যথাযথ পোশাক পরেননি- তাহলে তারাও এই বিলের আওতায় আসবেন।

বিলটি পাঠানোর কথা রয়েছে গার্ডিয়ান কাউন্সিলে। এটি হলো ধর্মীয় নেতা এবং বিচারকদের একটি রক্ষণশীল পরিষদ।

যদি তারা মনে করেন সংবিধান এবং শরীয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তাহলে বিলে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে এ পরিষদের।