ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসের আশ্রয় নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:২১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৫২ Time View

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অভিযোগ করছে যে- তাদের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আমি ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখে জানাতে চাই- নোবেল পেলে কেউ কি আইনের ঊর্ধ্বে চলে যায়? তার শ্রমিকদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি কি তা দিয়েছেন? বিএনপি আসলে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসের আশ্রয় নিয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. জেবউননেছা রচিত ‘বেদনাতুর ১৯৭৫ আগস্টের শহীদদের আলেখ্য’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল জাতিরাষ্ট্রকে হত্যা করা। এ হত্যাকাণ্ড মানব ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকাণ্ড। কারবালার প্রান্তরে নারী শিশুদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারী’সহ ছোট্ট শিশু রাসেল, সবাইকেই হত্যা করা হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। এমনকি তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আইয়ুব খান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাকে বলা হয়েছিল, ৬ দফার দুইটি দফা বাদ দিতে। তার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ৭০ এর নির্বাচনের আগে ৬ দফা ছিল আওয়ামী লীগের। এখন তা জনগণের দফা। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাঙালিদের মুক্তি নেই। তাই তিনি ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি যখন মনে করলেন ডাক দেওয়া দরকার, তখনই স্বাধীনতার ডাক দিলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে প্রধান দুই কুশীলব- খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। তার প্রমাণ হচ্ছে- ক্ষমতা দখল করার পর তাকে সেনাপতি বানানো। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা খুনের ওপর দাড়িয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন, তারা এখন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ভোটও পান। রাত-বিরাতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন। অথচ কেউ তাদের তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ফারজানা ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাবির সাবেক উপাচার্য অ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিল্পী হাশেম খান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসের আশ্রয় নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:২১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অভিযোগ করছে যে- তাদের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আমি ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখে জানাতে চাই- নোবেল পেলে কেউ কি আইনের ঊর্ধ্বে চলে যায়? তার শ্রমিকদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি কি তা দিয়েছেন? বিএনপি আসলে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসের আশ্রয় নিয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. জেবউননেছা রচিত ‘বেদনাতুর ১৯৭৫ আগস্টের শহীদদের আলেখ্য’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল জাতিরাষ্ট্রকে হত্যা করা। এ হত্যাকাণ্ড মানব ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকাণ্ড। কারবালার প্রান্তরে নারী শিশুদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারী’সহ ছোট্ট শিশু রাসেল, সবাইকেই হত্যা করা হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। এমনকি তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আইয়ুব খান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাকে বলা হয়েছিল, ৬ দফার দুইটি দফা বাদ দিতে। তার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ৭০ এর নির্বাচনের আগে ৬ দফা ছিল আওয়ামী লীগের। এখন তা জনগণের দফা। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাঙালিদের মুক্তি নেই। তাই তিনি ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি যখন মনে করলেন ডাক দেওয়া দরকার, তখনই স্বাধীনতার ডাক দিলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে প্রধান দুই কুশীলব- খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। তার প্রমাণ হচ্ছে- ক্ষমতা দখল করার পর তাকে সেনাপতি বানানো। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা খুনের ওপর দাড়িয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন, তারা এখন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ভোটও পান। রাত-বিরাতে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন। অথচ কেউ তাদের তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ফারজানা ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাবির সাবেক উপাচার্য অ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিল্পী হাশেম খান প্রমুখ।