অনিয়মিত পিরিয়ডের লক্ষণ ও প্রতিকার

- Update Time : ০৭:০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ২২৫ Time View
অনিয়মিত পিরিয়ড নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পিরিয়ড ঋতুচক্র যখন এক মাস হওয়ার আগেই হয়, প্রতি মাসে হয় না বা দুই মাস পর পর হয়, তখন তাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বলে।
অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয়, মূলত হরমোনাল কারণে মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন কম হলেও সময়মতো পিরিয়ড হয় না। এ ছাড়া পুষ্টিকর খাবারের অভাব, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত কফি পান করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা, অপরিচ্ছন্ন থাকা, মদ্যপান বা ধূমপান ইত্যাদি কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়। অনেক সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যেমন পিল, ইনজেকশন ব্যবহার করলে পিরিয়ড দেরিতে হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অনিয়মিত পিরিয়ডের লক্ষণ-
অনিয়মিত পিরিয়ডের লক্ষণ হচ্ছে ২১ দিনের আগে বা ৩৫ দিনের পর পিরিয়ড হয়। এ ছাড়া পিরিয়ড চলাকালীন কারো কারো মাত্রাতিরিক্ত তলপেটে ব্যথা অনুভব হয়। মানসিক অশান্তি এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এ সময় বেশি সময় ধরে রক্তপাত হতে পারে এবং আগের চেয়ে পরিমাণে বেশি রক্ত যেতে পারে। ওজন বেড়ে যেতে পারে।
অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য সুষম খাদ্য-
পিরিয়ড শুরু হওয়ার ১০ দিন আগে থেকেই শাকসবজি, ফল, সালাদ, টকদই খেতে হবে।
পিরিয়ড সঠিক সময়ের এক বা দুই সপ্তাহ আগে শুরু হলে গাজর, কলা, আপেল, পেয়ারা, শসা খেতে পারেন। এতে এই সমস্যা দূর হবে। অবশ্যই অল্প অল্প করে খেতে হবে। যাদের পিরিয়ড চলছে তারা দুধ খেতে পারেন। চা, কফি, তরল পানীয়, তেলজাতীয় খাবার ও ডিমের কুসুম খাওয়া এ সময় পরিহার করতে হবে। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে খাবার পরিবর্তনের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়