ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে তাই আন্দোলনে নেমেছি : গোলাম পরওয়ার আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয়নিঃ আসিফ নজরুল রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের ৪০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্ত কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয়েছে: আসামির স্বীকারোক্তি ব্রাজিল সফরে প্রধান বিচারপতি টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সংকট ঘিরে পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আসাদুল্লাহ আল গালিব,জাককানইবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / ১১১ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নতুন বাস সংযোজন, ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালু এবং ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের দাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের নির্ধারিত বাসগুলো আটকে রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. দ্রুত ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে নতুন বাস চালু করা,
২. দাবি বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা,
৩. পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে রুটভাড়া নির্ধারণ,
৪. ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর ব্যবস্থা,
৫. ড্রাইভার ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইলিয়াস বলেন, “বিআরটিসির বাসগুলোর ইঞ্জিন প্রায়ই মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ঠেলে বাস চালু করতে হয়। চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন ঢাকাগামী বাস সার্ভিস থাকলে অনেক উপকার হতো।”

এ সময় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম ও প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ১৫টি বাসের মধ্যে ৯টি বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত। এসব বাসে প্রায়ই ইঞ্জিন বিকল, চাকা ফেটে যাওয়া, কাচ ভেঙে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যা সম্পর্কে একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, “এখন থেকে নষ্ট বিআরটিসির বাসগুলো আর চলবে না। আমাদের নিজস্ব বাস দিয়ে শিডিউল পূরণ করা হবে। প্রাইভেট কোম্পানির বাস আনার জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো আসা পর্যন্ত নিজস্ব বাসেই কার্যক্রম চালানো হবে।”

তিনি আরও জানান, “সব বাস একসঙ্গে বন্ধ করলে ভোগান্তি বাড়বে। তাই আপাতত ৩টি বিআরটিসি বাস বন্ধ রাখা হবে এবং ৬টি চালানো হবে। টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হলে আরও ২টি বাস ফেরত পাঠানো হবে।”

ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পরিবহন প্রশাসক। এ বিষয়ে আগামী ২৭ জুলাই, রোববার বিকেল ৩টায় তাঁর কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আবারও কর্মসূচিতে ফিরবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সংকট ঘিরে পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আসাদুল্লাহ আল গালিব,জাককানইবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:২২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নতুন বাস সংযোজন, ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালু এবং ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের দাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের নির্ধারিত বাসগুলো আটকে রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. দ্রুত ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে নতুন বাস চালু করা,
২. দাবি বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা,
৩. পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে রুটভাড়া নির্ধারণ,
৪. ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর ব্যবস্থা,
৫. ড্রাইভার ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইলিয়াস বলেন, “বিআরটিসির বাসগুলোর ইঞ্জিন প্রায়ই মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ঠেলে বাস চালু করতে হয়। চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন ঢাকাগামী বাস সার্ভিস থাকলে অনেক উপকার হতো।”

এ সময় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম ও প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ১৫টি বাসের মধ্যে ৯টি বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত। এসব বাসে প্রায়ই ইঞ্জিন বিকল, চাকা ফেটে যাওয়া, কাচ ভেঙে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যা সম্পর্কে একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, “এখন থেকে নষ্ট বিআরটিসির বাসগুলো আর চলবে না। আমাদের নিজস্ব বাস দিয়ে শিডিউল পূরণ করা হবে। প্রাইভেট কোম্পানির বাস আনার জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো আসা পর্যন্ত নিজস্ব বাসেই কার্যক্রম চালানো হবে।”

তিনি আরও জানান, “সব বাস একসঙ্গে বন্ধ করলে ভোগান্তি বাড়বে। তাই আপাতত ৩টি বিআরটিসি বাস বন্ধ রাখা হবে এবং ৬টি চালানো হবে। টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হলে আরও ২টি বাস ফেরত পাঠানো হবে।”

ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পরিবহন প্রশাসক। এ বিষয়ে আগামী ২৭ জুলাই, রোববার বিকেল ৩টায় তাঁর কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আবারও কর্মসূচিতে ফিরবেন।