নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সংকট ঘিরে পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

- Update Time : ০৯:২২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
- / ১১১ Time View
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নতুন বাস সংযোজন, ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালু এবং ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের দাবিতে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের নির্ধারিত বাসগুলো আটকে রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. দ্রুত ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে নতুন বাস চালু করা,
২. দাবি বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা,
৩. পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে রুটভাড়া নির্ধারণ,
৪. ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর ব্যবস্থা,
৫. ড্রাইভার ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইলিয়াস বলেন, “বিআরটিসির বাসগুলোর ইঞ্জিন প্রায়ই মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ঠেলে বাস চালু করতে হয়। চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন ঢাকাগামী বাস সার্ভিস থাকলে অনেক উপকার হতো।”
এ সময় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম ও প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ১৫টি বাসের মধ্যে ৯টি বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত। এসব বাসে প্রায়ই ইঞ্জিন বিকল, চাকা ফেটে যাওয়া, কাচ ভেঙে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যা সম্পর্কে একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, “এখন থেকে নষ্ট বিআরটিসির বাসগুলো আর চলবে না। আমাদের নিজস্ব বাস দিয়ে শিডিউল পূরণ করা হবে। প্রাইভেট কোম্পানির বাস আনার জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেগুলো আসা পর্যন্ত নিজস্ব বাসেই কার্যক্রম চালানো হবে।”
তিনি আরও জানান, “সব বাস একসঙ্গে বন্ধ করলে ভোগান্তি বাড়বে। তাই আপাতত ৩টি বিআরটিসি বাস বন্ধ রাখা হবে এবং ৬টি চালানো হবে। টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হলে আরও ২টি বাস ফেরত পাঠানো হবে।”
ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পরিবহন প্রশাসক। এ বিষয়ে আগামী ২৭ জুলাই, রোববার বিকেল ৩টায় তাঁর কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আবারও কর্মসূচিতে ফিরবেন।