ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭০ বছরে বিয়ে করলেন বৃদ্ধ, ‘বাসর রাতে’ মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:২৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫০ Time View

জীবনের শেষ বয়সের নিঃসঙ্গতা কাটাতে ৭০ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বৃদ্ধ। ঘরে আনেন নতুন স্ত্রী। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস  বিয়ের রাত শেষ হতেই মৃত্যুর মুখোমুখি হন ওই বর। মর্মান্তিকভাবে শেষ হলো সেই শুভ দিন। দুঃখজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।

জানা গেছে, ওই বৃদ্ধের নাম সংগ্রুরাম। তিনি রাজ্যের জৈনপুর জেলার কুছমুছ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি ৩৫ বছর বয়সী এক রমণীকে বিয়ে করে ঘরে আনেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সংগ্রুরাম বছরখানেক আগে স্ত্রীকে হারান। এরপর একাই বসবাস করছিলেন। কোনো সন্তানও ছিল না। তিনি সাধারণত কৃষিকাজ করে সময় কাটাতেন। নিঃসঙ্গতা ও সঙ্গীর অভাব অনুভব করেই বয়স সত্ত্বেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা বৃদ্ধকে বিয়ে না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সংগ্রুরাম তা মানেননি। অবশেষে গত সোমবার তিনি জালালপুরের মানভাবতীকে (৩৫) বিয়ে করেন। গ্রামের মন্দিরে ধর্মীয় রীতিনীতির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ে।

কিন্তু পরদিন সকালেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, বয়সজনিত কারণে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু, আবার অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ময়নাতদন্ত হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

৭০ বছরে বিয়ে করলেন বৃদ্ধ, ‘বাসর রাতে’ মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:২৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

জীবনের শেষ বয়সের নিঃসঙ্গতা কাটাতে ৭০ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বৃদ্ধ। ঘরে আনেন নতুন স্ত্রী। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস  বিয়ের রাত শেষ হতেই মৃত্যুর মুখোমুখি হন ওই বর। মর্মান্তিকভাবে শেষ হলো সেই শুভ দিন। দুঃখজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।

জানা গেছে, ওই বৃদ্ধের নাম সংগ্রুরাম। তিনি রাজ্যের জৈনপুর জেলার কুছমুছ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি ৩৫ বছর বয়সী এক রমণীকে বিয়ে করে ঘরে আনেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, সংগ্রুরাম বছরখানেক আগে স্ত্রীকে হারান। এরপর একাই বসবাস করছিলেন। কোনো সন্তানও ছিল না। তিনি সাধারণত কৃষিকাজ করে সময় কাটাতেন। নিঃসঙ্গতা ও সঙ্গীর অভাব অনুভব করেই বয়স সত্ত্বেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা বৃদ্ধকে বিয়ে না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সংগ্রুরাম তা মানেননি। অবশেষে গত সোমবার তিনি জালালপুরের মানভাবতীকে (৩৫) বিয়ে করেন। গ্রামের মন্দিরে ধর্মীয় রীতিনীতির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ে।

কিন্তু পরদিন সকালেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, বয়সজনিত কারণে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু, আবার অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ময়নাতদন্ত হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।