ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ ব্যাংকে জমা এস আলম গ্রুপ ও পরিবারের ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা!

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:১৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩২ Time View

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ব্যাংকের হিসাবে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সূত্রগুলোর মতে, বর্তমানে এসব হিসাবের স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা। তবে কিছু ব্যাংক থেকে এখনও লেনদেনের তথ্য আসছে বিধায় এর পরিমাণ এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না।

এই ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। যারমধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এর আগে ছিল এস আলমের নিয়ন্ত্রণে।

তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগের পর থেকেই এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

গত ১৪ আগস্ট এনবিআরের অধীন ইনকাম ট্যাক্স জোন-১৫ থেকে ৯১টি ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এস আলম, তার পরিবার এবং তাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সত্ত্বাগুলোর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়। এর এক মাস পরে তারা এসব হিসাবের মধ্যে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের ঘটনা খুঁজে পেয়েছে।

ট্যাক্স জোন-১৫ এর কমিশনার আহসান হাবিব টিবিএসকে বলেন, “এস আলমের পরিবারের সদস্য, এবং গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব সার্চ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।” এর বেশি তিনি আর কিছু জানাতে রাজি হননি।

নাম না প্রকাশের শর্তে ট্যাক্স জোন-১৫ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ঋণ ও বিক্রির অর্থসহ এসব ব্যাংকে এপর্যন্ত তারা ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমার সন্ধান পেয়েছেন। “তবে এরমধ্যে কত টাকা ঋণের এখনও তা নির্ধারণের কাজ চলছে” – বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, “এস আলমের পরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়িক সত্ত্বাগুলোর এসব হিসাবের বর্তমান স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা জানতে পেরেছি।”

এই তথ্য কোন সময়ের, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা সাধারণত পাঁচ বছরের তথ্য চাই। তবে এক্ষেত্রে এর আগের সময়ের তথ্যও থাকতে পারে।”

অতীতে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, যে কোন করদাতার বিগত পাঁচ বছরের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া যেত। তবে নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, যা ২০২৩ সালে পাস হয়েছে, সেখানে এই টাইমলিমিট তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে কর বিভাগ অতীতের যে কোন সময়ের করদাতার তথ্য চাইতে পারে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

৬ ব্যাংকে জমা এস আলম গ্রুপ ও পরিবারের ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা!

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৪:১৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ব্যাংকের হিসাবে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে রাজস্ব কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সূত্রগুলোর মতে, বর্তমানে এসব হিসাবের স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা। তবে কিছু ব্যাংক থেকে এখনও লেনদেনের তথ্য আসছে বিধায় এর পরিমাণ এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না।

এই ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। যারমধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এর আগে ছিল এস আলমের নিয়ন্ত্রণে।

তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগের পর থেকেই এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

গত ১৪ আগস্ট এনবিআরের অধীন ইনকাম ট্যাক্স জোন-১৫ থেকে ৯১টি ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এস আলম, তার পরিবার এবং তাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সত্ত্বাগুলোর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়। এর এক মাস পরে তারা এসব হিসাবের মধ্যে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের ঘটনা খুঁজে পেয়েছে।

ট্যাক্স জোন-১৫ এর কমিশনার আহসান হাবিব টিবিএসকে বলেন, “এস আলমের পরিবারের সদস্য, এবং গ্রুপের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব সার্চ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।” এর বেশি তিনি আর কিছু জানাতে রাজি হননি।

নাম না প্রকাশের শর্তে ট্যাক্স জোন-১৫ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ঋণ ও বিক্রির অর্থসহ এসব ব্যাংকে এপর্যন্ত তারা ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা জমার সন্ধান পেয়েছেন। “তবে এরমধ্যে কত টাকা ঋণের এখনও তা নির্ধারণের কাজ চলছে” – বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, “এস আলমের পরিবারের সদস্য ও ব্যবসায়িক সত্ত্বাগুলোর এসব হিসাবের বর্তমান স্থিতি ২৬ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা জানতে পেরেছি।”

এই তথ্য কোন সময়ের, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা সাধারণত পাঁচ বছরের তথ্য চাই। তবে এক্ষেত্রে এর আগের সময়ের তথ্যও থাকতে পারে।”

অতীতে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, যে কোন করদাতার বিগত পাঁচ বছরের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া যেত। তবে নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, যা ২০২৩ সালে পাস হয়েছে, সেখানে এই টাইমলিমিট তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে কর বিভাগ অতীতের যে কোন সময়ের করদাতার তথ্য চাইতে পারে।

নওরোজ/এসএইচ