ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা

রাজধানী ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / ১২ Time View

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ৮ ঘণ্টা পর রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সড়ক ছাড়লে সাড়ে ৬টায় মহাখালী রুটে যান চলাচল শুরু হয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে চালকরা বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এতে মহাখালী-বনানী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

দুপুর দেড়টা থেকে রাজধানীর বাইরের সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে মহাখালী রুটে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ঢাকা জেলার সিএনজি চালকরা দাবি করেন, ঢাকা জেলার সিএনজিগুলো যেন ঢাকা মহানগরে চলাচলের অনুমতি পায়। এছাড়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না দেয়।

সকাল ১০টায় বিআরটিএর সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির চালকরা। তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দুপুর ১টার পর প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাখালীগামী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

তারা দাবি জানান, জেলার সব সিএনজি অটোরিকশাকে মেট্রোপলিটন এলাকায় চালানোর সুযোগ দিতে হবে।

বর্তমানে মেট্রোপলিটন এলাকায় ঢাকা মেট্রোর রেজিস্ট্রারকৃত ৩ হাজার সিএনজি চলাচল করে থাকে। এর বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য এলাকাতেও অসংখ্য অটোরিকশা রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেসব সিএনজিকেও মেট্রো এলাকায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো ধরনের মামলা দেওয়া যাবে না।

আন্দোলন চলাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সড়কের অবস্থান ছাড়ার অনুরোধ করা হলেও অবস্থান ছাড়তে নারাজ ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
তখন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মাইকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আলোচনার পথ খোলা রাখুন। আবারও আলোচনায় বসুন। প্রয়োজনে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে কমিটি করে আপনাদের প্রতিনিধি দিন। তারা গিয়ে কথা বলুক। আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। দয়া করে আপনারা রাস্তা থেকে সরে আসেন। রাস্তা ফ্রি করে দেন। এটাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে হস্তক্ষেপ করেন। তাদের প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

৬ ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা

রাজধানী ডেস্ক
Update Time : ১১:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ৮ ঘণ্টা পর রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সড়ক ছাড়লে সাড়ে ৬টায় মহাখালী রুটে যান চলাচল শুরু হয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে চালকরা বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এতে মহাখালী-বনানী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

দুপুর দেড়টা থেকে রাজধানীর বাইরের সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে মহাখালী রুটে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ঢাকা জেলার সিএনজি চালকরা দাবি করেন, ঢাকা জেলার সিএনজিগুলো যেন ঢাকা মহানগরে চলাচলের অনুমতি পায়। এছাড়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না দেয়।

সকাল ১০টায় বিআরটিএর সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির চালকরা। তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দুপুর ১টার পর প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাখালীগামী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

তারা দাবি জানান, জেলার সব সিএনজি অটোরিকশাকে মেট্রোপলিটন এলাকায় চালানোর সুযোগ দিতে হবে।

বর্তমানে মেট্রোপলিটন এলাকায় ঢাকা মেট্রোর রেজিস্ট্রারকৃত ৩ হাজার সিএনজি চলাচল করে থাকে। এর বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য এলাকাতেও অসংখ্য অটোরিকশা রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেসব সিএনজিকেও মেট্রো এলাকায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো ধরনের মামলা দেওয়া যাবে না।

আন্দোলন চলাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সড়কের অবস্থান ছাড়ার অনুরোধ করা হলেও অবস্থান ছাড়তে নারাজ ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
তখন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মাইকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আলোচনার পথ খোলা রাখুন। আবারও আলোচনায় বসুন। প্রয়োজনে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে কমিটি করে আপনাদের প্রতিনিধি দিন। তারা গিয়ে কথা বলুক। আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। দয়া করে আপনারা রাস্তা থেকে সরে আসেন। রাস্তা ফ্রি করে দেন। এটাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে হস্তক্ষেপ করেন। তাদের প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।