ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ লবণের ট্রাকে ইয়াবা পাচারের মামলায় চালকের যাবজ্জীবন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় ৩০০ কোটির ক্ষতিপূরণ গুনছে ইউটিউব পুরান ঢাকাকে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিবো – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিজিবি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে : ডিজি লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারতের প্রতিক্রিয়া

৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১২:১৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৯ Time View

ছবিঃ সংগৃহীত।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো, কাউকে পূজা করতে দেওয়া হবে না, জোর করা হবে। এমন কোনো বিপত্তি কি এখানে হয়েছে? এত দিন আপনাদের একটা মিথ্যা ভয় দেখানো হতো, আমাদের হিন্দু-মুসলিমের এই সম্প্রীতিটা ধরে রাখতে হবে।’

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে দেবীদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের সংচাইল গ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পূজায় আগত নারীদের শাড়ি উপহার দেন ও মণ্ডপে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ গত দুই বছর আগে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত বছর দুর্গাপূজার আগে অনেক ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। এবারো একটি অপশক্তি অনেক চেষ্টা করেছে; কিন্তু শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর মুসলিম ভাইয়েরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন। এটাই হচ্ছে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আপনার সম্প্রদায় এবং আমার সম্প্রদায় বিশ্বাসগতভাবে আলাদা থাকতে পারে; কিন্তু সম্প্রীতির জায়গায় আমরা এক আছি। কোনোভাবেই যেন এই সম্প্রীতির জায়গায় অপশক্তি কোনো চির ধরাতে না পারে। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সামাজিক অর্থনৈতিক শিক্ষা সংস্কৃতি এবং সব ক্ষেত্রে একটি ঐক্য থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ইতিহাসের আবহমানকাল থেকে আমরা একটি সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছি। এই সম্প্রীতি হচ্ছে আমাদের শক্তি। এই সম্প্রীতির মাঝে বিভাজন তৈরি করার জন্য সব সময় একটি অপরাজনীতি করা হয়েছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে যদি সংঘর্ষ লাগানো যায় তাহলে এটা থেকে একটি পক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিতে পারবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বাসগত জায়গায় আমাদের একটি পার্থক্য আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এখানে হিন্দু ব্যবসায়ীরা আছে, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আছে, সবাই মিলেমিশে চলাফেরা করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সবাই মিলেমিশে লেখাপড়া করছে।

তিনি বলেন, ‘দেবীদ্বারের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু ধর্মের। কিন্তু আমরা কোনো দিন শুনিনি তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সব সময় বজায় থাকবে। এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
এনসিপির এই নেতা আরো বলেন, ‘দেবীদ্বারের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ইতিমধ্যে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। আপনাদের এই রাস্তাঘাট উন্নয়ন করা হবে। দেবীদ্বারের এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে ভাঙাচোরা রাস্তা নেই। এসব রাস্তাঘাটের সংস্কার করা হবে।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের উদ্দেশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা ঘরের গৃহিণী, আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন, লেখাপড়া করাবেন; এটা আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি। আমরা সবাই মিলে একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

পরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১২:১৯:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো, কাউকে পূজা করতে দেওয়া হবে না, জোর করা হবে। এমন কোনো বিপত্তি কি এখানে হয়েছে? এত দিন আপনাদের একটা মিথ্যা ভয় দেখানো হতো, আমাদের হিন্দু-মুসলিমের এই সম্প্রীতিটা ধরে রাখতে হবে।’

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে দেবীদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের সংচাইল গ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পূজায় আগত নারীদের শাড়ি উপহার দেন ও মণ্ডপে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ গত দুই বছর আগে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গত বছর দুর্গাপূজার আগে অনেক ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। এবারো একটি অপশক্তি অনেক চেষ্টা করেছে; কিন্তু শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর মুসলিম ভাইয়েরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন। এটাই হচ্ছে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আপনার সম্প্রদায় এবং আমার সম্প্রদায় বিশ্বাসগতভাবে আলাদা থাকতে পারে; কিন্তু সম্প্রীতির জায়গায় আমরা এক আছি। কোনোভাবেই যেন এই সম্প্রীতির জায়গায় অপশক্তি কোনো চির ধরাতে না পারে। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সামাজিক অর্থনৈতিক শিক্ষা সংস্কৃতি এবং সব ক্ষেত্রে একটি ঐক্য থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ইতিহাসের আবহমানকাল থেকে আমরা একটি সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছি। এই সম্প্রীতি হচ্ছে আমাদের শক্তি। এই সম্প্রীতির মাঝে বিভাজন তৈরি করার জন্য সব সময় একটি অপরাজনীতি করা হয়েছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে যদি সংঘর্ষ লাগানো যায় তাহলে এটা থেকে একটি পক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিতে পারবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বাসগত জায়গায় আমাদের একটি পার্থক্য আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এখানে হিন্দু ব্যবসায়ীরা আছে, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আছে, সবাই মিলেমিশে চলাফেরা করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সবাই মিলেমিশে লেখাপড়া করছে।

তিনি বলেন, ‘দেবীদ্বারের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু ধর্মের। কিন্তু আমরা কোনো দিন শুনিনি তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সব সময় বজায় থাকবে। এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা সব সময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
এনসিপির এই নেতা আরো বলেন, ‘দেবীদ্বারের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ইতিমধ্যে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। আপনাদের এই রাস্তাঘাট উন্নয়ন করা হবে। দেবীদ্বারের এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে ভাঙাচোরা রাস্তা নেই। এসব রাস্তাঘাটের সংস্কার করা হবে।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের উদ্দেশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা ঘরের গৃহিণী, আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন, লেখাপড়া করাবেন; এটা আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি। আমরা সবাই মিলে একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

পরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।